শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
মহিদুল ইসলাম (শাহীন)খুলনা ব্যুরো প্রধান।
খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয় সহকারী পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, চলতি বছরে বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ আগস্ট ২০২৫। তিনি আরো বলেন, সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম পেলে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বছর খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে দশটি জেলায় মোট ধান চাল সংগ্রহের
লক্ষ্যমাত্রা ধান-১৭৩৩১৯ মেট্রিক টন, চাল- ১২৭৯৮৭.৯৭০ মেট্রিক টন। জেলা পর্যায়ে ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা খুলনা ধান-২৫৯১০ মে,টন ও চাল- ১৬০৩৪.১৬০ মেট্রিক টন, বাগেরহাট জেলা ধান- ৯৭৮৭ মে,টন ও চাল-৯৫৫৮.৯৬০ মেট্রিক টন, সাতক্ষীরা জেলা ধান–১৭৬৭৮ মে,টন ও চাল-১৪০৮৪.৪১০ মেট্রিক টন। যশোর জেলা ধান-৩০০৯৮ মে,টন
ও চাল-২৫৭২৫.৩০০ মেট্রিক টন। ঝিনাইদাহ জেলা ধান-২৩৩৪০ মে,টন ও চাল ১৪০৫২.২১০ মেট্রিক টন। মাগুরা জেলা ধান- ৬১১৬ মে,টন ও চাল- ৪৫৮৩.৫৯০ মে, টন। নড়াইল জেলা ধান-৫৭৮৯ মে,টন ও চাল-৫৩৮৩.১১০ মে, টন। কুষ্টিয়া জেলা ধান-৪৩৩২৯ মে,টন ও চাল-২৬৭৯৮.১৪০ মে, টন। চুয়াডাঙ্গা জেলা ধান-১২২৭৬ মে,টন ও চাল-১২৩৭৯.২৯০ টন। মেহেরপুর জেলা
ধান-৯৯৬ মে,টন ও চাল-৩৮৮ মেট্রিক টন। এ বছর ধানের দাম ধরা হয়েছে মন প্রতি ১৪৪০ টাকা এবং চালের দাম ধরা হয়েছে প্রতি মন-১৯৬০ টাকা। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে মোট ধান সংগ্রহ হয়েছে-৪৫০৩৭ মেট্রিক টন এবং চাল সংগ্রহ হয়েছে ১৯০৫২.২০০ মেট্রিক টন। এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা আশা রাখি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব। তিনি আরো বলেন,
ধান সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে প্রতিটি কৃষকের কাছ থেকে তাদের ভোটার আইডি কার্ড ছবি সহ সুনির্দিষ্ট তালিকা থাকবে তাছাড়া কোন কৃষকের কাছ থেকে সেবার খরচ বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ দেখিয়ে কোন টাকা নেওয়া যাবে না। এবং চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে মিলারদের কাছ থেকে নিজ খরচে সংগ্রহ করতে হবে।
এই নিয়মের কোন রকম ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সরকারি নির্দেশনার বাইরে ধান ও চাল সংগ্রহ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাদ্য অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সার্বিক বিষয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন,ধান,চাউল সংগ্রহ আজ পর্যন্ত সন্তোষজনক। আশা করি ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত যে সময় নির্ধারণ করা আছে সেই সময়ের মধ্যে শতভাগ টার্গেট পুরন করতে পারবো। তবে কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিন্দু পরিমান অনিয়ম পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।