শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
মোহাম্মদ হায়দার আলী এম এ চেয়ারম্যান, দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান লিঃ। সারাদেশে মুসলমানদের ঘরে ঘরে চলছে ঈদুল ফিতরের আমেজ। ঈদের খুশি ও আনন্দে মেতে উঠেছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ঈদের শুভেচ্ছা আদান-প্রদানের স্টেটাস। আবার ভাইরাল হওয়ার আশায় অনেকে টিকটকে সরব রয়েছে নিয়মিত। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালন শেষে গত পহেলা শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী, ২২এপ্রিল ২০২৩ ইং রোজ শনিবার বাংলাদেশে উদযাপিত হল পবিত্র ঈদুল ফিতর।দিনটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় সহ নানান আয়োজনে পালন করছে ধর্ম প্রাণ মুসলিমরা।
এদিকে ঈদের লম্বা ছুটি পেয়ে দেশের দর্শনীয় স্থানগুলুতে উপচে পড়া ভীট করছে দর্শনার্থীরা। দেশের প্রধান সড়ক সহ শাখা রাস্তা গুলুতে দীর্ঘ জ্যাম আর যানজটের শিকার হচ্ছে ঈদের আনন্দে মেতে উঠা দেশবাসী। কোথাও কোথাও লক্কর ঝক্কর সড়ক আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে অকেজো বেইলি ব্রিজগুলা। এমন চিত্র চট্টগ্রামের বহু উপজেলায় গণমাধ্যম কর্মীদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শাখা রাস্তা গুলুতে বেশ বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ার কারনে বাঁশখালীর দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাওয়া আসা খুব কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঈদের সময়ে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে দেখা গেছে বাঁশখালীর বাহারছড়া সমুদ্র সৈকতে ভ্রমনে আসা দর্শনার্থীদের। পালেগ্রাম ছলেমার বর ব্রীজ হতে বশিরউল্লাহ মিয়াজির বাজার পর্যন্ত শাখা রাস্তাটির বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। রাস্হাটির পালেগ্রাম,মাইজপাড়া,ইলশা ও বশিরউল্লাহ বাজার বেইলি ব্রীজ পর্যন্ত বড় বড় গর্তের ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যা যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে দাঁড়িছে। আসছে বর্ষার সময়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এদিকে বশিরউল্লাহ বাজার বেইলি ব্রীজটির অকেজো অবস্থা। ব্রীজটিতে জোড়াতালি সংস্কার করা হলেও অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ এর হাত থেকে বাঁচার কোন উপায় নায়। অথচ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছে শতশত যাত্রীবাহি ও মালবাহি যানবাহন। সাধারণ যাত্রীরা ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকিতে থাকলেও স্হায়ী কোন সমাধান দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কোন মহল থেকে। স্হানীয় বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে কয়েকবার অস্হায়ী সংস্কার করা হলেও এতে চাহিদা অনুযায়ী সুফল পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী জনগন ও সাধারণ পথচারীরা। আর এদিকে বাঁশখালীর সমুদ্র সৈকত এর বাহারছড়া পয়েন্টে যাওয়া-আসা দর্শনার্থীরা ও তাদের ব্যবহৃত যানবাহন গুলার নিত্য জ্যাম তো আছেই।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আসা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় ও যানজটে অতিষ্ঠ সাধারণ পথচারী ও স্হানীয় জনগন।
যদি এই লক্কর ঝক্কর সড়ক ও অকেজো প্রায় বেইলি ব্রিজটির স্হায়ী কোন সমাধান না করা হয় তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ও সোনার বাংলার চিত্র থেকে আমার আপনার প্রানের উপজেলার নান্দনিক সৌন্দর্য ভরা রুপের চিত্রটি আর অংকিত হবে না। ডিজিটাল বাঁশখালীর রুপকার আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান এমপি এর মনের আশাটিও আর পূরন হবে মর্মে বলাবলি করছে ভুক্তভোগী জনগন।
দ্বিতীয় কক্সবাজার খ্যাত বাঁশখালীর সমুদ্র সৈকত এর ব্যাপক প্রচার-প্রসার করে দেশের আরেকটি সুনাম অর্জন করা এখন সময়ের দাবি। এদিকে সমুদ্র সৈকতের বাহারছড়া পয়েন্টের সৌন্দর্য দেশ-বিদেশে তুলে ধরতে গণমাধ্যম কর্মীরা নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করার কারনে প্রতিদিন দেশ-বিদেশ হতে আসা হাজার-হাজারদর্শনার্থীদের সমাঘম ঘটছে । সকলের দৃষ্টি এখন বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতের দিকে। সুতরাং সড়ক- পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় ও বাঁশখালীতে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট মহলের কর্মকর্তাদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন অনুসন্ধান উঠে আসা বিষয়টির প্রতি আন্তরিক হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেন্। এতে সুফল পাবে বাঁশখালীবাসি সহ দেশের জনগন। মুক্তি পাবে ভুক্তভোগীরা।