শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:-বিশ্বের প্রায় ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। রাশিয়া -ইউক্রেণ যুদ্ধ যত দীর্ঘস্থায়ী হবে ততই এই খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে পড়বে প্রায় ৭০ কোটি মানুষ। জাতিসংঘের এমন আশঙ্কায় সতর্ক বার্তা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। উৎপাদ বাড়ানোর পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে খাদ্য আমদানি ও সংরক্ষণে।
২০২০ সালে করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়ে কৃষি উৎপাদনে। সেই সময়েই বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করেছিলো জাতিসংঘ।
বর্তমানে চলমান যুদ্ধের কারণে সেই আশঙ্কা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যাপক ভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।দেশে দেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যপক সংকট দেখা দেয় জ্বালানি খাতে। ফলে সারসহ কৃষি পণ্যের উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায় ব্যপক হারে। এমতাবস্থায় সারা বিশ্ব এক মহাখাদ্য সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই সংকটের জন্য দায়ি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল বা বিশ্ব নেতৃত্বের। যুদ্ধে যুদ্ধে শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামীর বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। বিশ্ব সম্প্রদায় শুধু তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য পুরো বিশ্বকে কোনঠাসা করে রেখেছে। তাদের এই জেদ এবং ক্ষমতার দম্ভের কারণে আগামী বিশ্ব বিরাট হুমকির মুখে পড়বে। শোনা যাচ্ছে পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারের দিকেও এগুচ্ছো দেশগুলো। এমন যদি সত্যিই পারমানবিক অস্ত্রের ব্যবহার ঘটে তাহলে পুরো বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে মুহূর্তের মধ্যে। যুদ্ধ যতই দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে ততই সংকট বাড়ছে খাদ্যে। সারা বিশ্বের খাদ্য সংকটের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ। তাই সরকার বার বার দেশের মানুষ কে খাদ্য উৎপাদন এবং অপচয় রোধসহ সঞ্চয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আগাম প্রস্তুতির কথাও বলছেন সরকার। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের যে বার্তা আসছে তা যদি সত্যিই হয় তাহলে সবচাইতে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে বিশ্বের কোটি কোটি শিশু। শিশুদের খাদ্য সংকটের কারণে কোটি কোটি শিশু মারাও যেতে পারে। এক কথায় পুরো বিশ্বের মানুষ খাদ্যের অভাবে হাহাকার করতে করতে মারা যাবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এর উপর বেশি প্রভাব পড়তে পারে আশঙ্কা করে সরকার বার বার সতর্ক করে যাচ্ছেন। তাই আমাদের উচিত হবে সরকারের নির্দেশনা মেনে দলমত নির্বিশেষে দেশে যার যতটুকু জমি আছে সেখানেই উৎপাদন করার ব্যবস্থা করা। তবেই কিছুটা হলেও খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে দেশ। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে বিশ্ব সম্প্রদায় মিলে কূটনৈতিক ভাবে যুদ্ধ বন্ধের ব্যবস্থাও করতে হবে। এবং বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় উভয়ই মানবিক হতে হবে। তবেই আবার ঘুরে দাঁড়াবে পুরো বিশ্ব।