1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
চট্টগ্রাম সি ই পি জেড এ কর্মরত তহমিনা নামের এক গার্মেন্টস কর্মী নিখোঁজ কালাইয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারির অবস্থান কর্মসূচি খুলনা বটিয়াঘাটায় বিএনপি নেতা সামসুল ও শফিকুল কে দল থেকে বহিষ্কার দাম্ভিকতার কারণেই হাসিনা সরকারের পতন- মির্জা ফখরুল যুবদল নেতার উপর হামলার বিচারের দাবিতে আমতলীতে বিক্ষোভ সমাবেশ সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অভিনব পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ডাঃ সাইফুল্লাহ চট্টগ্রামে  গ্রেফতার।  র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রজনতার উপর হামলাকারী বাকলিয়ার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কথিত যুবলীগ নেতা মোঃ সাদ্দাম গ্রেফতার। গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত 0১,আহত-0 ৫ ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনানী বাজারে গণঅধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রোবাস্ট পেট্রোলিং ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপনে,  ডাকাতি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি এবং কিশোর গ্যাং এর অপতৎপরতা রোধে  নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৬৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:-
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও গত তিন মাস যাবৎ র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর এর নির্দেশনা মোতাবেক র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রোবাস্ট পেট্রোলিং এর মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নিম্নবর্ণিত অপরাধ সমূহ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে:

কিশোর গ্যাং:* সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাংয়ের কর্মকান্ড একটি আলোচিত বিষয় এবং ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা। অল্প বয়সী কিশোররাই এই সব গ্যাং বা গ্রুপের সদস্য। তারা পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের সংঘবন্ধ করে। নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গিয়ে এই সব গ্রুপের সদস্যরা ঝগড়া, মারামারি দিয়ে শুরু করে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সন্ত্রাস, মাদক, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ইদানিং কিশোর গ্যাং অপরাধের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। তাদের যে কোন কাজ সমাজের মানুষের জন্য যেন কোন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ৫০টি’র অধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে। গত তিন মাসে ৪/৫টি কিশোর গ্যাংয়ের মোট ২০ জন সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

 

আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা:* কিছু কিছু এলাকায় অতি সামান্য ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি, মারামারি এমনকি হত্যার ঘটনা ঘটছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এগুলোর পিছনে রয়েছে আধিপত্য বিস্তার। এসব ব্যাপারে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম দ্রুত অপরাধীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। অতিসম্প্রতি চট্টগ্রামের চকবাজারে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা, পাহাড়তলীতে ডাবল মার্ডার, পতেঙ্গায় পান বিক্রেতাকে হত্যা, আনোয়ারা থানায় কলা পাতা নিয়ে ঝগড়া করে হত্যা, রাঙ্গুনিয়া থানায় এনজিও কর্মী কল্পনা চাকমাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, আনোয়ারা থানায় পাওনাদারকে আটকে রেখে হত্যা এবং এসব নৃশংস ঘটনায় মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৭ আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।

মাদক: র‌্যাব-৭ কর্তৃক বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের ফলে মাদকের বৃহৎ চালান উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে এবং মাদক সরবরাহ অনেক নিম্নপর্যায়ে আসলেও কিছু কিছু খুচরা মাদক কারবারি শহরের নির্জন ও পরিত্যক্ত স্থান বা এলাকায় মাদক কেনা-বেচা করছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর ফিরিঙ্গি বাজার, বাকলিয়া, অলংকার, হালিশহর, পতেঙ্গাসহ শহরের ভিতরে এবং বাহিরে অনেক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ব্যবসা করছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত তিন মাসে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ০১ লক্ষ ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৫৪০ কেজি গাঁজাসহ বিপুল পরিমান দেশি এবং বিদেশি মদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

ছিনতাই:* চট্টগ্রাম শহর দেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক শহর। এ শহরে মানুষজন অনেক রাত পর্যন্ত ব্যবসা-বানিজ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে চলাচল করে। রাত ১১০০ টার পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম বেশি চলে। ছিনতাইকালে ভিকটিম সামান্য বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা গুরুতর আঘাত করা এবং অনেক ক্ষেত্রে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। র‌্যাব-৭ গত তিন মাসে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা হতে ১৫ জন ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

 

ইভটিজিং:* সাম্প্রতিক সময়ে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং রাস্তা-ঘাট, শপিং মলে বিভিন্ন বয়সী নারীদের উত্ত্যক্ত বা ইভটিজিং এর ঘটনা ঘটছে। এটা একটি সামাজিক ব্যাধি। নারীদের প্রতি অশালীন উক্তি করা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রভৃতি ইভটিজিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। এটা নারীদের নিরাপত্তায় মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। যা সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধি করে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এসকল ইভটিজিং এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও ইভটিজিং প্রতিরোধে রোবাস্ট পেট্রোলিং পরিচালনা করছে।

 

ডাকাতি:* ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এবং বাঁশখালী সড়কে ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার প্রেক্ষিতে মহাসড়কে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি রোবাস্ট পেট্রোলিং করায় যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মিনিবাসে ডাকাতির ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা হতে গত তিন মাসে ১১ জন ডাকাতকে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

 

চাঁদাবাজি:*  বর্তমান সময়ে চাঁদাবাজিতে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে চাঁদাবাজরা সরাসরি চাঁদা নেওয়ার পরিবর্তে তাদের নির্দিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে উচ্চ মূল্যে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে বাধ্য করছে। সেটাও আমরা নজরদারিতে নিয়ে আসছি এবং অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

উপরোক্ত বিভিন্ন ধরণের অপরাধ রোধে র‌্যাব-৭ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় প্রতিদিন ১৮টি পেট্রোল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ১৮ টি টহল ২৪ ঘন্টা ব্যাপী চট্টগ্রাম শহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যেমন- জিইসি মোড়, অলংকার, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, নাসিরাবাদ, খুলশি, হালিশহর ইত্যাদি এলাকায় দায়িত্ব পালন করে আসছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ অপরাপর আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যক্রম রোধকল্পে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সমূহে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চট্টগ্রাম নগরবাসীর নিরাপত্তা বিধানকল্পে র‌্যাব-৭ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত এক মাস যাবত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করার পর অত্র অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর এই টহল কার্যক্রম আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।

প্রিয় সাংবাদিক ভাই/বোন এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান: আপনার এলাকার অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’কে তথ্য দিয়ে অত্র অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জ্ঞাপন করছি।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......