1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
  2. mdalamin0972@gmail.com : alamin :
শিরোনামঃ
ঢাকায় নিহত ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সোহাগের দাফন বরগুনায় সম্পন্ন  বরগুনায় ৩৩০০ কৃষকের মাঝে ভেজা ও নষ্ট সার-বীজ বিতরণ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গাফলিত” কৃষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বটিয়াঘাটার ৪ নম্বর সুরখালি ইউনিয়নের জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কর্মী সম্মেলন ২০২৫ বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট আশরাফ হোসেন রাজ্জাক। বালিয়াডাঙ্গীতে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা ভিজিএফের চাল বিতরণে গিয়ে ইউপি সদস্যদের বাধার মুখে এসিল্যান্ড বাঁশখালীতে আস্করিয়া সড়ক নয় যেন মিনি পুকুর বাগেরহাটের ইউএনও মুস্তাফিজুর রহমান মানবতার সেবায় নিয়োজিত গোমস্তাপুরে ছেলে নিখোঁজ ১৩ দিন হলেও এখনো মিলেনি খোঁজ বাবা মায়ের আর্তনাদ ধাড়িয়া বন্দরে বিএনপি’র সদস্য নবায়ন কার্যক্রম সফল

বরগুনায় ৩৩০০ কৃষকের মাঝে ভেজা ও নষ্ট সার-বীজ বিতরণ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গাফলিত” কৃষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫
  • ১২০ জন দেখেছেন

বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনা সদর উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সরকারের দেয়া নিম্নমানের, বৃষ্টিতে ভেজা ও নষ্ট সার ও ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই২৫ ) উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলে কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারের ৩৩০০ জন উপকারভোগী কৃষকের মধ্যে বিতরণকৃত সার ও বীজগুলো অনেকটাই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকরা জানান, এগুলো কৃষি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অসতর্কতা ও অবহেলার কারণেই এই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলো নষ্ট হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলেন,আমরা জনপ্রতি ২০০ টাকার বেশি খরচ করে এই ভেজা সার-বীজ আনছি। কিন্তু এগুলোর এখন কোনো উপকারে আসবে না। এই অবস্থায় আমাদের ফসল নষ্ট হবে।
কৃষকরা আরও জানান, মালগুলো বরগুনা সদরের একটি পরিত্যক্ত ভবনের গোডাউনে অনিয়মিতভাবে সংরক্ষণ করায়, বর্ষায় পানি ঢুকে তা ভিজে যায়। তারা এর জন্য সরাসরি উপজেলা কৃষি অফিসের গাফিলতিকে দায়ী করছেন।
সচেতন মহল বলছেন এই ঘটনার তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং নতুনভাবে উপযোগী সার-বীজ পুনরায় সরবরাহ করা হোক।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ফাটল ছিল সেই জায়গা থেকে পানি ঢুকে কিছু সার ও ধানের বীজ নষ্ট হয়েছে‌। মালামাল স্তূপ করার জন্য একটি ব্যবহারের উপযোগী গোডাউন দরকার। তা না হলে বৃষ্টিতে মালামাল রাখা ঝুঁকি হয়ে পড়বে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো ঠিক হয়নি সাংবাদিকদের হুমকি দেন এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরগুনা, খামারবাড়ির উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষকদের যেন ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনার পর বরগুনা জেলায় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, যদি এভাবে তদারকি ও বিতরণ ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা চলতে থাকে, তবে তাদের ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
সরকারি সহযোগিতা যেন কৃষকদের উপকারে আসে — এটাই সবার প্রত্যাশা। কিন্তু এমন অনিয়ম কৃষকদের আস্থা নষ্ট করছে। দ্রুত তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে সর্বমহল থেকে।

 

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......