শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা বন্দরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র এজেন্ট শাখার মালিকানা পরিবর্তনকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মালিকানা গোপনে ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তনের অভিযোগ এনে আজ শনিবার দুপুর ১২টায় ডৌয়াতলা বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ডৌয়াতলা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু সালেহ হাওলাদারের সভাপতিত্বে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা বলেন,আমরা ডৌয়াতলা বন্দরের সাধারণ ব্যবসায়ী হিসেবে এই এজেন্ট ব্যাংককে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনৈতিক আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তদন্ত করে সেই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জবাবদিহিমূলক নোটিশ দিয়েছেন বলে আমরা শুনেছি। এরপরও আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই মালিকানা পরিবর্তনের চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন মঠবাড়িয়া শাখার ম্যানেজার।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “তদন্তকালীন অফিসাররা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে ভবিষ্যতে মালিকানা পরিবর্তনের আগে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে গোপনে আবেদন করে ভবঘুরে ও বিতর্কিত ব্যাক্তিদের মালিকানা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আক্ষেপ জানিয়ে তারা বলেন, “ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে আঃ জলিল নামে এক ব্যক্তিকে, যার পরিবারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় ইতোমধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংকের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র আমরা মেনে নেব না।
এছাড়াও, বর্তমান পরিচালক ইসমাইলের স্ত্রীকে ‘আল্লাহর কসম’ করে কিছু না জানানোর আশ্বাস দিয়েও ম্যানেজার পরবর্তীতে বিপরীত বক্তব্য দিয়ে দ্বৈত আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব ছিল, সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাইক্রো ট্রেডিং-কে মালিকানা প্রদান করা হোক। তারা বলেন, এই প্রতিষ্ঠানকে একাউন্ট করতে আমরা অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু ১৮ দিন ঘুরানোর পরও তাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। অপরদিকে জলিলের একাউন্ট মাত্র ১ দিনে খুলে দিয়ে তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।ডৌয়াতলা বন্দর ব্যবসায়ী সমিতি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়,
অবিলম্বে মাইক্রো ট্রেডিং বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠানের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করা না হলে আমরা ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।
তারা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান ও এমডি মহোদয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মহোদয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।