শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি:
রাজনীতির মাঠে সংগ্রাম, ত্যাগ আর সাহসিকতার নাম যদি খোঁজা হয়, তাহলে কাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক স্বদেশ কুমার সুব্রত রায় তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের পতাকা হাতে তুলে নেওয়া এই নেতার গল্প আজ স্থানীয় জনগণের মুখে মুখে।
স্বদেশ কুমার সুব্রত রায়ের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল আদর্শ আর জাতীয়তাবাদী চেতনার ভিত্তিতে। তবে এই পথ ছিল না কখনোই কুসুম বিছানো। আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি একের পর এক রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হন। বহুবার তাকে হামলার শিকার হতে হয়েছে। শুধু তাই নয়—ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এক সময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে।
একাধিক মিথ্যা মামলা, অভিযোগ এবং হামলা তার পথরোধ করতে পারেনি। আদালতের বারান্দা, হাসপাতালের বিছানা, থানা হেফাজত—সবই দেখেছেন তিনি, কিন্তু কখনোই নীতির প্রশ্নে পিছিয়ে যাননি সুব্রত রায়।
সুব্রত রায় বলেন, একটি স্বার্থন্বেষী মহল সালাম , মিজানুর রহমান আওয়ামী লীগের সাথে যোগসাজশ করে দীর্ঘ বছর দলের দুর্নাম সৃষ্টি করে সুবিধা নিয়েছে , তারা আজ আমাকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে । আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী। দলের জন্য জীবন দিতে পারি, পিছু হটার প্রশ্নই আসে না। আমি বিশ্বাস করি—দল আমাকে সময়মতো সঠিক মূল্যায়ন করবে।
ইউনিয়নের জনগণের প্রত্যাশা সুব্রত রায় যেন পান প্রাপ্য সম্মান
কাজিরাবাদ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মুখেও রয়েছে সুব্রত রায়ের প্রতি আস্থা। তারা মনে করেন, সুব্রত রায় শুধু রাজনৈতিক কর্মী নন, তিনি এই অঞ্চলের আপামর মানুষের সুখ-দুঃখের একজন আপনজন। তার নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত হয়েছে, অনেক তরুণ আজ রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে। শুধু তাই নয় বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিভিন্ন হাটবাজারে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বিএনপির পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছেন।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “সুব্রত দা নির্যাতনের মুখে কখনো ভয় পাননি। উনি না থাকলে ইউনিয়নে বিএনপি হয়তো এত শক্ত ভিত্তিতে দাঁড়াতে পারতো না। আমরা চাই—দল তাকে উপযুক্ত মূল্যায়ন করুক।
স্বদেশ কুমার সুব্রত রায় এখন শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মী নন, বরং দলীয় আদর্শের এক বীর সৈনিক। অনেকের মতে, তার মতো নিবেদিতপ্রাণ নেতৃত্ব পেলে বিএনপি তার হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারবে। সময়ই বলে দেবে, দল তাকে কতটুকু মূল্যায়ন করে, কিন্তু কাজিরাবাদবাসীর দৃষ্টিতে তিনি আজ, আগামী প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা।