মোহাম্মদ মিলন আকতার,রংপুর বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান:

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে খায়রুন আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন বাচ্চা না হওয়ায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে।

উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও (পশ্চিম পাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গৃহবধূ ওই গ্রামের তাজমুল হকের (৩৫) স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের মেয়ে।

গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় ১২ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাজমুল হকের সঙ্গে খায়রুন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও তাদের ঘরে কোন সন্তান হয়নি ।

খায়রুনের মা আলেয়া বেগম ও ভাই আলমগীর বলেন, আমাদের মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করা হতো। তারা তাকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলেছে। আমরা বিচার চাই, হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

তাজমুল হকের পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জীবিকার সন্ধানে তাজমহল হক বিগত আটদিন পূর্বে কুমিল্লায় গিয়েছেন । স্বামী -স্ত্রীর মধ্যেও সুসম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান ।
তবে এলাকাবাসী মনে করেন এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তি দেওয়ার হোক ।

চাচা শ্বশুর এ কে এম মানিক বলেন, রাতে খায়রুন ঘুমিয়ে পড়েছিল।সকালে অনেক সময় হয়ে গেলেও গরুর ঘর থেকে গরু বের না করায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয় । একপর্যায়ে ভুট্টাক্ষেতে তার জুতা দেখে সন্দেহ হলে খোঁজ করতে করতে শ্বশুরের কবরের পাশে মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশেই শ্বশুরের কবরের ওপর হাত বাঁধা অবস্থায় মরদেহ খোঁজ পান এবং তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।