শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
ক্রাইম রিপোর্টার: ঝালকাঠী জেলার, কাঠালিয়া থানাধীন, সোনাউটা গ্রামের মৃত: আঃ রহমান মুন্সির পুত্র মোঃ আবু হানিফ হাওলাদার ও মামলা সুত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানাযায় যে,বিগত ইংরেজী ১৭/০৭/২০২৪ খ্রি: রোজ বুধবার সকাল অনুমান ৯.০০ ঘটিকার সময় বাদীর মো: আবু হানিফ হাওলাদার’র নির্মাণাধীন বসত বিল্ডিং এর দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বিবরণে মামলার বাদী মো: আবু হানিফ হাওলাদার জানায় যে, ঘটনার তারিখ ও সময় ০১। মোঃ বেল্লাল হোসেন (৩৭)পিতাঃ আল মামুন হাওলাদার,০২। মোঃ বাপ্পি হাওলাদার (২২) পিতাঃ আল মামুন হাওলাদার,০৩। মোঃ আল মামুন (৬০)পিতা-মৃতঃ আঃ রহমান মুন্সি,০৪। মোসাঃ সুলতানা বেগম (২৫)স্বামীঃ বেল্লাল হোসেন,০৫। মোসাঃ ফাতেমা বেগম (৫০)স্বামীঃ আল মামুন সর্ব সাকিনঃ সোনাউটা, থানাঃ কাঠালিয়া, জেলাঃ ঝালকাঠী সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন ছিল।
আসামীগণ অত্যান্ত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জবর দখলকারী ও অসৎ প্রকৃতির লোক হইতেছে। তাহারা কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না। আসামীদের বসত বাড়ী এবং আমার বসত বাড়ী একই এলাকায় পাশাপাশি অবস্থিত। তাহারা এলাকায় ক্যাডার, সন্ত্রাস ও চাঁদা উত্তলোন ও পরের সম্পদ এমনকি ভয়ভীতির মাধ্যমের পরের জমি জমা জোড় পূর্বক দখল
করিয়া খাওয়াই তাহাদের নেশা ও পেশা। আমি আমার বাড়ীতে গত প্রায় ১ বছর পূর্ব হইতে একটি পাকা বাড়ী নির্মাণের কাজ শুরু করি। আসামীরা আমার সেই নবনির্মিত পাকা বিল্ডিং এর পার্শ্বে উপস্থিত হইয়া আমার নিকট ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি উক্ত দিতে অস্বীকার করিলে আসামীরা আমার পাকা বিল্ডিং নির্মাণের কাজে প্রবল বেগে বাধা প্রদান করে। এমনকি তাহারা প্রথমে আমার উপর চাপ সৃষ্টি সহ ভয়ভীতি এমনকি ত্রাস সৃষ্টি করিয়া আমাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। আসামীদের চাপে আমি আমার পাকা বিল্ডিং এর কাজ মাঝখানে স্থগিত করিতে বাধ্য হই। অবশেষে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আসামীদের চাঁদার দাবীর কাছে আমি অসহায় হইয়া আমার কাজ চালাইয়া যাওয়ার জন্য বিগত ইংরেজী ১৫/০৪/২০২৪ খ্রি:/ তারিখ ০১ নং আসামী মোঃ বেল্লাল হোসেন ও ০৩ নং আসামী মোঃ আল মামুন এর নিকট আমি নগদ ১,০০,০০০/- টাকা চাঁদা হিসাবে আসামীদেরকে প্রদান করি। আসামীরা তাহাতেও খুশি হইতে না পারিয়া আমার নিকট চাঁদার বাকি ৪,০০,০০০/- টাকা আদায় করিবার জন্য আমার উপর চাপ প্রয়োগে অব্যাহত রাখিয়া ঘটনার দিন ও সময় অর্থাৎ বিগত ইংরেজী ১৭/০৭/২০২৪ খ্রি:/ তারিখ রোজ বুধবার সকাল অনুমান ৯.০০ ঘটিকার সময়। উল্লেখিত আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ নং সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক রামদা, স্যানা, লোহার রড, শাবল, লাঠি, সোটা ইত্যাদি,
মারাত্মক প্রাণ নাশক অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর দক্ষিণ পাশে আমাকে পাইয়া এলোপাথারী চর থাপ্পর, কিল, ঘুষি মারে এবং আমার স্টক করা সিমেন্ট এর বস্তা এবং বালু খোয়া ছড়াইয়া ছিটাইয়া ফেলিয়া দেয়। তাহাতে আমার ৫০,০০০/- টাকার ক্ষতি হয় এবং আমার অস্থায়ী বসত ঘর পিটাইয়া কোপাইয়া ভাংচুর করিয়া অনুমান ৫০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমি ঐ দিন বিকাল অনুমান ৩.০০ ঘটিকার সময় মামলা করার জন্য কাঠালিয়া থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মৌখিক ভাবে কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরামর্শ মোতাবেক, মাননীয়, ঝালকাঠী বিজ্ঞ দ্রুত বিচার আদালত,দ্রুপ্ত বিচার কেচ নং- ৩৫ /২০২৪ (কাঠা)ধারাঃ- আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) সংশোধণ আইন ২০১২ সনের ২(খ) এর (অ) এর ১(অ) (ই) (ঈ) (উ)/৪ ও ৫ ধারা। মামলা দায়ের করি। বর্তমানে আমার মামলা খানা ঝালকাঠী জেলার ডিবি পুলিশের তদন্তধীর আছে।
মো: হানিফ হােওলাদার আরো জানায় যে,২৯ জুলাই ২০২৪ খ্রি: বিকাল অনুমান ৫ ঘটিকা। ঘটনাস্থল-আমার দোকানঘর, ছোন্দলপাড়া, ইপিজেড, চট্টগ্রাম। প্রতিপক্ষ / বিবাদীগন (১)মোছাম্মৎ জেসমিন (৪২), স্বামী- মোঃ ফজলুর রহমান,(২)মোঃ ফজলুর রহমান (৪৮), পিতা- পিতা- মৃত আব্দুর রহমান মুন্সী, উভয় সাং- পশ্চিম ছোনাউঠা, পোঃ- আমুয়া, থানা- কাঠালিয়া, জেলা-ঝালকাঠি। বর্তমানে- লোকমান ভিলা, নীচতলা, রুম নং-২, বন্দরটিলা কাঁচা বাজারের পিছনে, রেলবিট, থানা- ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম।(৩) মোঃ বেল্লাল হোসেন (৩৭), পিতা- আল মামুন হাওলাদার (৪)মোঃ বাঙ্গি হাওলাদার (২২), পিতা- আল মামুন হাওলাদার, উভয় সাং- পশ্চিম ছোনাউঠা, পোঃ- আমুয়া, থানা- কাঠালিয়া, জেলা-ঝালকাঠি। বর্তমানে- উকিল বিল্ডিং, নীচতলা, জাইল্যাপাড়া, রেলবিট, থানা- ইপিজেড, জেলা- চট্টগ্রাম।
এবিষয় আমি মাননীয়,চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রাম।(ইপিজেড থানা আমলী) সূত্রঃ সি আর মামলা নং- ৩৫৫ /২০২৪ খ্রি:,দায়ের করিলে, আমার মামলা খানা চট্রগাম জেলাধীন,ওসি ইপিজেড থানায় তদন্তধীন আছে। আমি স্হানীয় পুলিশ প্রশাসন,বিচার বিভাগ,পুলিশ কমিশনার মহোদয়,মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) মহোদয়,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়, ও প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।