বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলাধীন স্বল্পসেনা গ্রামের মল্লিক বাড়ীর হাবিব মল্লিকের বসত ঘরে গত ০৯ নভেম্বর গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। গত ০৯ নভেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক পৌনে ০১টার সময় দোতালা বিশিষ্ট কাঠের ঘরের উপর তলায় আলো দেখতে পায়। হঠাৎ ঘরের ভিতরে থাকা লোকজন আলোর ঝলকানি দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে করতে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে।
এ বিষয় ফরিদ উদ্দীন মল্লিক জানান, রাত আনুমানিক পৌনে একটার সময় আমার বাবা আমার স্ত্রীকে ডেকে বলে ঘরের ভিতর আলো জ্বলছে কেন। তখন আমার স্ত্রী বিছানা থেকে উঠে আগুন দেখতে পায়। এ সময় সে চিৎকার করে আমাকে ডাকতে ডাকতে দৌড়ে আমাদের শায়ন কক্ষে গিয়ে আমার ছোট সন্তানকে কোলে নিয়ে আমাকেও ঘর থেকে বের হতে বলে।আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমি আমার অন্য বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আমার বাবাকে সহ ঘর থেকে বের হয়ে যাই। আমার স্ত্রী, সন্তান ও বাবাকে বাড়ীর আঙ্গিনায় রেখে দৌড়ে ঘরের মধ্যে ছুটে গিয়ে বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ অফ করে দেই। এরপর ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার করতে থাকলে এলাকাবাসী এসে পানি দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করলেও মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে পুড়ো ঘরের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আর আমার চোখের সামনেই ঘরটি পুড়তে থাকে। বিষয়টি আমার ছোট ভাই মাহাবুব আলমকে ফোনে জানালে সে ৯৯৯ এ ফোন করে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতা চাইলে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে দীর্ঘ এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও ততক্ষনে আমার ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ বিষয় ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে ফায়ার স্টেশন লিডার শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমরা রাত ০১ঃ০৪ চার ঘটিকার সময় ৯৯৯এর মাধ্যমে আগুন লাগার সংবাদ পাই এবং সাথে সাথে গাড়ী নিয়ে বের হই। রাস্তার অবস্থা একটু খারাপ থাকায় ০১ঃ২০ ঘটিকার মধ্যে ঘটনা স্থলে পৌছাই এবং মাত্র ২মিনিটের মধ্যেই আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হই। দীর্ঘ একঘন্টা চেষ্টার পরে রাত আনুমানিক ২ঃ৩০ ঘটিকার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হই। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো জানতে পারিনি তবে তদন্ত করে আমরা বলতে পারবো।
এ বিষয় হাবিব মল্লিকের ছেলে মাহাবুব আলম জানান, আমি চাকরি সূত্রে এলাকার বাহিরে থাকায় আমাদের বসত ঘরে আগুন লাগায় ঐ সময় আমার বড় ভাই আমাকে ফোন দিলে আমি তার ফোনের লাইন কেটে ৯৯৯এ ফোন দিয়ে তাদের সহযোগীতা চাই। ক্ষয়ক্ষতির বিষয় তার নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আনুমানিক তাদের পঁচিশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।