শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
জাকারিয়া হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ পতেঙ্গা মডেল থানা পুলিশ গত ১৪ মে ২০২৪ খ্রি: থানাধীন চরপাড়াস্থ বিএসএল আবাসিক হোটেলে আসামী আসলাম চৌধুরী (৩৭), পিতা- অলিফ, সাং- কাতিরহাট, থানা- নেত্রকোনা সদর, জেলা- নেত্রকোনা। উক্ত আসামী নিজেকে পল্লী বিদ্যুতের বড় অফিসার এবং চট্টগ্রাম শহরে নিজস্ব বাড়ী-গাড়ীর মালিক বলিয়া মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ফেইসবুকে পাত্রী চাই শিরোনামে স্ট্যাটার্স দেয় এবং নগরীর এক প্রতিবন্ধী পরিবারের ২৭ বছরের তরুনীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নিয়ে এসে উক্ত আবাসিক হোটেলে তাহাকে ধর্ষন করিয়া পরদিন ১৪-০৫-২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল ১০:০০ ঘটিকায় আসামী ভিকটিমকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ফৌজদারহাট রিং রোডের মাথায় গিয়ে ভিকটিমের ০২টি ব্যবহৃত মোবাইল নিয়ে উক্ত ভিকটিমকে কৌশলে মোটরসাইকেল হতে নামিয়ে দিয়ে আসামী পালিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে পতেঙ্গা মডেল থানায় এজাহার দায়ের করে। উক্ত এজাহারের আলোকে পতেঙ্গা মডেল থানার মামলা নং-০৮, তারিখ-১৬ মে ২০২৪খ্রিঃ, ধারা-২০০০ খ্রি: নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধীত-২০২০) ৯(১) রুজু করা হয়। মামলা রুজুর পর অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ কবিরুল ইসলাম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও ওসি তদন্ত আনিসুর রহমান এর সহযোগিতায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/আশিষ কুমার দে বিশ্বস্ত গুপ্তচরের তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য পযুক্তির মাধ্যমে আসামীর অবস্থান সনাক্ত পূর্বক চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই থানা এলাকা হইতে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করিয়া ২২ মে ২০২৪খ্রিঃ তারিখ ১৭:২০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পরবর্তীতে জানা যায়, উক্ত আসামীর উপরোক্ত নাম ঠিকানা সম্পূর্ণ ভূয়া। প্রকৃতপক্ষে তার সঠিক নাম- শিবলী সাদিক নাঈম (৪১), পিতা- মৃত এ কে এম হুমায়ুন, মাতা- আনোয়ারা বেগম, সাং- বমটেক, ৮নং ওয়ার্ড, যোশর ইউপি, থানা- শিবপুর, জেলা- নরসিংদী। ধৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া তাহার হেফাজতে থাকা ভিকটিমের নিকট হইতে কৌশলে নিয়ে যাওয়া ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা মুলে জব্দ করেন। আসামীকে বর্নিত মামলায় গ্রেফতার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।