1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
জয়পুরহাট পাঁচবিবির মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী ও সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের ফুলপুরে জুয়ার আসর পুড়িয়ে দিলো নব যোগদানকৃতওসি রাশেদুজ্জামান: শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম মহোদয়ের যোগদান ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ফলজ বৃক্ষ উপহার পেল শিক্ষার্থীরা কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ফুলপুর ইসলামী ব্যাংক ম‍্যানেজারের সাথে ফুলপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত। যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানাধীন মাস্টারপাড়া এলাকা হতে ০১টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও  কার্তুজ উদ্ধার। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পেল সনদ শেরপুরে প্রতারণার ফাঁদে এক নারী জামায়াত আমিরের ‘ক্ষমা’ নিয়ে মাসুদ সাঈদীর স্ট্যাটাস

চতুর্থ পর্ব:-

  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৯০ জন দেখেছেন

হাকিম মাওলানা মুহাম্মদ ইকবাল ইউসুফ:

মহানবী (দ.) কখনও কোন ইহুদী খ্রিস্টান অগ্নিপূজারী মুশরেককে তাদের আকীদা অনুযায়ী ইবাদত করতে বারণ করেননি। উপরন্তু একবার নাজরান উপত্যকা থেকে খ্রিস্টান পাদ্রীদের একটি দল মদিনায় আসে এবং বেশ কয়েক দিন তারা মসজিদে নববী শরিফের অভ্যন্তরে বসে মহানবী (দ.) এবং সাহাবাগণের উপস্থিতিতে খ্রিস্টধর্মের পক্ষে আলোচনা করেন। মহানবী (দ.) ও তাদের সাথে ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করেন।

একদিন এমনই কথোপকথনের সময় তারা মসজিদ থেকে উঠে চলে যেতে লাগল। নবীজির জিজ্ঞাসায় তারা বলল, আমাদের উপাসনার সময় হয়েছে তাই আমরা বাইরে গিয়ে উপাসনা করতে চাই। নবীজি বললেন, এজন্যে মসজিদ থেকে বাইরে যাবার প্রয়োজন নেই। এখানেই বসে আপন নিয়মানুযায়ী প্রার্থনা করে নিন। অতঃপর সে খ্রিস্টান পাদ্রীরা, যারা হজরত ঈসা (আ.)- কে ঈশ্বরপুত্র বলে বিশ্বাস করে এবং নিজেদের আকীদা অনুযায়ী হজরত ঈসা (আ.)- কে ঈশ্বর জ্ঞানে পূজা করত, তারা মসজিদে নববীর অভ্যন্তরে নিজেদের বিশ্বাস অনুযায়ী উপাসনা করে। (ইবনে সা’দ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৩৫৬; দারুল ফিক্র বইরুত)

১২) কাফেরদের বিষয়ে আল্লাহ্ তালা পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘লা ইয়ানহাকুমুল্লাহু আনিল্লাযীনা লাম ইউকাতিলূকুম ফিদ্দীনে ওয়া লাম ইউখরিজূকুম মিন দিয়ারিকুম আন তার্বারূহুম ওয়া তুকসিতূ ইলাইহিম ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুল মুকসিতীন। ইন্নামা ইয়ানহাকুমুল্লাহু আনিল্লাযীনা কাতালূকুম ফিদ্দীনে ওয়া আখরাজূকুম মিন দিয়ারিকুম ওয়া যাহারূ আলা ইখরাজিকুম আন তাওয়াল্লাওহুম ওয়া মান ইয়াতাওয়াল্লাহুম ফা-উলাইকা হুমুয্ যালিমূন (সূরা মুমতাহানা: ৯ ও ১০)।

যারা তোমাদের সাথে ধর্মীয় বিষয়ে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে দেশছাড়া করে নি, আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাদের সাথে উত্তম আচরণ করতে এবং ন্যায়-নিষ্ঠার ব্যবহার করতে বারণ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালবাসেন। আল্লাহ্ তোমাদেরকে কেবল তাদেরকে বন্ধু বানাতে বারণ করেন, যারা ধর্মীয় বিষয়ে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর থেকে বিতাড়িত করেছে এবং তোমাদেরকে বিতাড়িত করতে একে অন্যকে সাহায্য করেছে। আর যে তাদেরকে বন্ধু বানাবে, তারাই হলো যালেম।

১৩)কাফেরকে সালাম বলা:
আল্লাহ্ তা’লা পবিত্র কুরআনে বলেন, ওয়া কীলিহি ইয়া রাব্বে ইন্না হাউলায়ে কাওমুন লা ইউ’মিনূনা; ফাসফাহ্ আনহুম ওয়া কুল সালাম, ফাসাউফা ইয়া’লামূন। ‘হে আমার প্রভু! এরা এমন এক জাতি, যারা ঈমান আনে না, নবীর এমন কথায় আল্লাহ্ বলছেন, হে নবী-আপনি তাদের উপেক্ষা করুন এবং তাদের কে সালাম বল। অচিরেই তারা জানতে পারবে’ (সূরা যুখরুফ: ৮৯, ৯০)।অতএব কাফেরদের ক্ষেত্রেও আল্লাহ্ তা’লার নির্দেশ হল, তাদেরকে সালাম বল।

লেখক : হাকিম মাওলানা মুহাম্মদ ইকবাল ইউসুফ (মাঃ)।
সাধারণ সম্পাদক, সূফীতত্ত্ব গবেষণা ও মানবকল্যাণ কেন্দ্র

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......