বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
পারভেজ রানা,বিশেষ প্রতিনিধিঃ সুদুর ইতালির রাজধানী রোম থেকে ‘সিমনা’ বঁধু হয়ে ছুটে এলেন বরগুনার আমতলীতে।সিমনাকে এক নজর দেখতে শত শত মানুষের ভিড় করেছে।
আজ দুপুরে আমতলী পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে ঈদগাহ ময়দানে প্রিয় স্বামীর স্বজনদের অভ্যর্থনায় অভিভূত ওই বধূ।
জানা গেছে,আমতলী পৌর শহরের কালিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোনা মাতুব্বরের ছেলে নাসির মাতুব্বর কাজের সন্ধানে ২০০৩ সালে ইতালির উদ্দেশে পাড়ি জমান। জীবন বাজি রেখে ছয়টি দেশ পেরিয়ে ২০০৭ সালে ইতালি পৌঁছেন।
নাসির ইতালিতে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়। কাজের সুবাদে রোমের বাসিন্দা সিমনার সঙ্গে তার দেখা হয়। আলাপ চারিতার মাঝে চলে দুজনের মন দেয়া-নেয়া।টানা চার বছর চুকিয়ে প্রেম করেন তারা। ২০১৩ সালে তাদের প্রেমের রূপায়িত হয় বিয়েতে।বিয়ের পর নাসির-সিমনা দম্পতির দাবিদ নামের পাঁচ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ইতালি প্রবাসী নাসির বর্তমানে গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। ভালোই কাটছে তাদের দাম্পত্য জীবন।
বৃহস্পতিবার নাসির স্বজনদের দেখতে হেলিকপ্টারে বধূ ও পুত্র সন্তান নিয়ে আমতলী আসেন। বেলা সাড়ে এগারটার দিকে পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে ঈদগাহ ময়দানে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এ সময় শত শত উৎসুক জনতা তাদের দেখতে ভিড় জমায়। ওই দম্পতিকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানায় স্বজনরা। রোমের কন্যা আমতলীর বধূ সিমনা উৎসুক জনতাকে হাত নেরে অভিবাদন জানান।
ইতালি প্রবাসী নাসির মাতুব্বর বলেন, ‘চারটি বছর জীবন বাজি রেখে ছয়টি দেশ পাড়ি দিয়ে ইতালি গিয়েছি। ওইখানে গিয়ে কাজের সুবাদে সিমনার সঙ্গে দেখা হয়। দেখা থেকে প্রেম, প্রেম থেকে বিয়ে। আমরা এখন ভালোই আছি। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে হেলিকপ্টারে বধূ, ছেলে দাবিদকে নিয়ে এসেছি। অল্প দিনের মধ্যেই আবার চলে যাব।’
আমতলীর বধূ সিমনা বলেন, ‘আমরা ছেলে সন্তান নিয়ে ভালোই আছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘প্রবাসী দম্পতি ভালোভাবেই আমতলী এসে পৌঁছেছেন। তাদের জন্য বেশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’