শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:২২ অপরাহ্ন
অজিত কুমার রায়, বটিয়াঘাটা(খুলনা):
দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় তা থেকে উপজেলা,ইউনিয়ন এমনকি গ্রামও এখন মুক্ত নয়। এজন্য বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী, জলমা,বটিয়াঘাটা সদর,গঙ্গারামপুর,বালিয়াডাঙ্গা,আমিরপুর ও ভান্ডারকোট ইউনিয়নে জন সচেতনতা মুলক কাজ চলাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর । সম্প্রতি উপজেলায় ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। খাদিজা বেগম নামে জলমার এক মহিলা ডেঙ্গু লক্ষণ নিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসলে তাকে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু আক্রান্ত সনক্ত হয়। তাকে করোনা কেবিনে জরুরী ভাবে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান হাসপাতাল ক্যাম্পাস সহ কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকা সমুহকে এডিস মশা নির্মূলে অভিযান শুরুর নির্দেশনা জারী করেন।
তিনি বলেন, যদি কারো জ্বরের মেয়াদ ১/৫ দিনের বেশি হয়ে থাকে আমরা তাকে ডেঙ্গু রোগের এন্টিজেন্ট টেস্ট করাই। বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই টেস্ট মাত্র ৫০ টাকা অথচ বেসরকারি ক্লিনিকে ১২ শ টাকা লাগে। তবে মানুষকে সচেতন করতে হবে কারণ ঢাকা থেকে যারা আসে তাদের শরীরে ডেঙ্গুর জীবানু থাকলে সেই ব্যক্তিকে কামড়ানো মশা অন্য ব্যক্তিকে কামড়ালে সেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় পরিস্কার করতে হবে। তিন দিনের বেশি পানি জমে থাকলে,সে পানি অবশ্যই চেন্জ করতে হবে,এভাবেই যদি প্রচার প্রচারণা চালানো যায়,সেক্ষেত্রে বটিয়াঘাটা উপজেলা ডোঙ্গুর উপদ্রব থেকে রক্ষা পাবে। ডেঙ্গু এমন একটি ভাইরাস মানুষের শরীরে একটি কনিকা আছে, সেটাকে একদম কমিয়ে ফেলে আর সেটা যদি ২০ হাজারের নীচে নেমে যায় সেক্ষেত্রে রোগী মারাও যেতে পারে। এটা”করোনা”রোগের থেকেও ভয়ংকর। সুতরাং সকলে শতর্ক থাকতে হবে।
সেই সাথে ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে ডেঙ্গু সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। শহরে ডেঙ্গু নিধনে ক্রাস প্রোগ্রাম চলছে। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে তেমন কোন ব্যবস্থা এখনও গ্রহণ করার খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলমের দৃষ্টি কামনা করছেন উপজেলাবাসী।