শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
বটিয়াঘাটা(খুলনা)প্রতিনিধি : খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার হরিণটানা থানাধীন প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ (রাজবাঁধ) এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুরঞ্জন সুতার যৌন নিপীড়ন, কু প্রস্তাব ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় শ্রীঘরে। সম্প্রতি এই বিদ্যাপীঠের ৪টি পদে নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই নিয়োগ পরিক্ষায় আয়া পদে অংশগ্রহণকারী হোগলাডাঙ্গা গ্রামের বিকাশ রায়ের কন্যা প্রেমা রায় গত ২৪ এপ্রিল হরিণটানা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো যথাক্রমে (১)সুরঞ্জন সুতার পিতা নারায়ণ সুতার গ্রাম নিজখামার,(২) পলাশ বিশ্বাস পিতা মৃত দিলিপ বিশ্বাস,গ্রাম ঘোলা(৩)তরিকুল ইসলাম পিতা মৃত মহীউদ্দীন গ্রাম কৈয়া বাজার সর্বথানা হরিণটানা,জেলা খুলনা। মামলা নং ৭। মামলার তথ্য বিবরণীতে তিনি বলেন, স্কুলে ৪র্থ শ্রেণির আয়া পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করি। সেই সুবাদে আসামীদের সাথে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হয়। আসামী পলাশ বিশ্বাস আমাকে জানায় চাকরি পেতে হলে স্কুলের উন্নয়নের জন্য কিছু টাকা দেওয়া লাগবে। আমি চাকরি পাওয়ার জন্য উক্ত প্রস্তাবে রাজি হই। আমার বাবার ডিপিএস ভেঙ্গে ও ৬টি গরু বিক্রি করে মোট ৭ লক্ষ টাকা যোগাড় করি। যা গত ইং ৫ মার্চ সন্ধ্যায় ১নং আসামী সুরঞ্জন সুতারের জমির প্রজেক্ট হোগলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওখানে গিয়ে পলাশ বিশ্বাসের সামনে আমার মা নিজ হাতে ৭ লক্ষ নগদ টাকা সুরঞ্জন সুতার কে বুঝিয়ে দেয়। তারপর থেকে পলাশ বিশ্বাস ও তরিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আমাকে কু প্রস্তাব দেয় এবং বাসায় যেতে বলে। আমি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরি পাওয়ার পথে বিভিন্ন বাধা সৃষ্টি করে। শেষ পর্যন্ত আমার চাকরি না হওয়ায় আমি আমার টাকা ফেরত চাইতে গেলে তারা বিভিন্ন তালবাহানা করে এবং টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হরিণটানা থানার এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, মামলার ১নং আসামী সুরঞ্জন সুতারকে গত ২৪ এপ্রিল আনুমানিক রাত ৮ টার সময় কৈয়া বাজার থেকে আটক করা হয়। আজ (২৫ এপ্রিল) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া সুরঞ্জন সুতার’র বিরুদ্ধে রাঁজবাধ এলাকায় সরকারি খাল দখল করে প্লট আকারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে । এব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে । এছাড়া সুরঞ্জন সুতার’র বিরুদ্ধে মামলা, নারী নির্যাতন, জাল-জালিয়াতি ও অপহরণের অভিযোগ রয়েছে । এলাকাবাসীর গণদাবিতে জানা গেছে, দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মৃণালের সেকেন্ড ইন কমান্ড সুরঞ্জন সুতার মৃর্ণালের মৃত্যুর পর তার নিকট রেখে যাওয়া কোটি কোটি টাকা দিয়ে ভূমি ব্যবসা ও মৃর্নালের ওই শারদীয় দুর্গাপূজা চালিয়ে যাচ্ছে । নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আইওয়াশ হিসেবে দান করছে ।