শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
মোঃ রজিবুল ইসলাম সুইট,বিভাগীয় প্রধান খুলনা :- যশোরের সড়কে মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা ঝড়ে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। উজাড় নিঃশ্ব সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ছে নিহতদের পরিবার ।
অনুসন্ধানে,চলতি বছরের জানুয়ারি ০১তারিখ বিকালে যশোরের চুড়ামনকাঠি রেলক্রসিংয়ের পাশে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম সুমি (২২), সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের জোহরা বেগম(৫৫) একই এলাকার বাসিন্দা ও ভ্যান চালক মাসুম হোসেন (২৮) ট্রাক চাপায় নিহত হয় । এবং দুই জন আহত হয়।আহাতরা হলেন যবিপ্রবির মাস্টার্স বর্ষের শিক্ষার্থী মোতাসিন বিল্লাহ(২৪), সদরের কমলাপুর গ্রামের আমজেদ আলী আলী (৬৫)এবং গত ৮ই জানুয়ারিতে যশোরের অভয়নগরের চেঙ্গুটিয়ায় বাসে ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ও একজন আহত হন। ৯ই জানুয়ারি সকালে রাজারহাট এলাকায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১জন নিহত ও ২জন আহত হয়েছে। ১১ই জানুয়ারী রাতে শানতলা পেপসি কোম্পানির সমনে ট্রাকের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ১২ই জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে কেশবপুর আলতাপোল এলাকায় ট্রাকের সংঘর্ষে এক হেলপার নিহত, মনিরামপুরে নসিমন – পিকাপ সংঘর্ষে এক জন নিহত ও চালকিডাংগায় ইজিবাইকের চাকায় ওড়না জড়িয়ে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু। চৌগাছায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়।
একসাথে ৩ জনের প্রাণহানি। বলতে গেলে চারিদিকে শুধু কান্না আর কান্না। এত যে দুর্ঘটনা ঘটছে তার কোনো প্রতিকার নেই। প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনা এড়াতে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। নির্দেশনা প্রতিপালনে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা মনে করি জননেত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা নিশ্চিত কমে আসবে। যাদের ওপর বাস্তবায়নের দায়িত্ব তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। কিন্তু যন্ত্রদানব যে তাদের জীবনটাও কেড়ে নিতে পারে প্রাণ হরণ করতে পারে তাদের সন্তানাদিসহ আপনজনদের সে কথাটিও ভাবছে না।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু কাক্ষিত নয়। দুর্ঘটনার বিষয়টাকে নিয়তির বিষয় বলা হয়ে থাকে। প্রবাদ আছে ‘মরণ লেখা পায়, যার যেখানে মরণ আছে সেখানে গিয়ে হয়।’ কিন্তু তার পরেও সতর্কতা বা সচেতনতা বলে একটা বিষয় আছে যেটাকে কোনোক্রমেই উড়িয়ে দেয়া না। দুর্ঘটনা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তি শাস্তি মুখোমুখি হতে হয়। এখানে নিয়তির বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা যতদূর জানি তরুণরা যখন এই যান হাতে পায় তখন তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে চালাতে গিয়ে তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় পড়ে। অভিভাবক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে এই বেপরোয় গতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়া দরকার। বিষয়টাকে পাশ কাটিয়ে গেলে এসব ঘটনা ঠেকানো যাবে না। অন্যান্য যানবহন চলাচলে কোনো নিয়ম নীতি মানতে দেখা যাচ্ছে না। মনে হয় যেন একটা ফ্রি স্টাইলের দেশে যানবাহনগুলো চলাচল করছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দেশটাকে সঠিক পথে চলতে হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। সড়কে মৃত্যু রোধ করতে হলে আইনের কাছে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে সময়ের চেয়ে জীবনের মুল্য অনেক বেশি, তাই সবধানে গাড়ি চালাই নিরাপদে বাড়ি ফিরি। আপনার স্ত্রী,সন্তান,মা বাবা,আপনার বাড়ি ফিরার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।