1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
  2. mdalamin0972@gmail.com : alamin :
শিরোনামঃ
ঢাকায় নিহত ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী সোহাগের দাফন বরগুনায় সম্পন্ন  বরগুনায় ৩৩০০ কৃষকের মাঝে ভেজা ও নষ্ট সার-বীজ বিতরণ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গাফলিত” কৃষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বটিয়াঘাটার ৪ নম্বর সুরখালি ইউনিয়নের জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কর্মী সম্মেলন ২০২৫ বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট আশরাফ হোসেন রাজ্জাক। বালিয়াডাঙ্গীতে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা ভিজিএফের চাল বিতরণে গিয়ে ইউপি সদস্যদের বাধার মুখে এসিল্যান্ড বাঁশখালীতে আস্করিয়া সড়ক নয় যেন মিনি পুকুর বাগেরহাটের ইউএনও মুস্তাফিজুর রহমান মানবতার সেবায় নিয়োজিত গোমস্তাপুরে ছেলে নিখোঁজ ১৩ দিন হলেও এখনো মিলেনি খোঁজ বাবা মায়ের আর্তনাদ ধাড়িয়া বন্দরে বিএনপি’র সদস্য নবায়ন কার্যক্রম সফল

বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর সমাধিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১০২ জন দেখেছেন

তুফান চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলা প্রতিনিধিঃ- মহান বিজয় দিবসে রাঙামাটির নানিয়ারচরে অবস্থিত মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর সেনানী বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর সমাধিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে বুড়িঘাটে অবস্থিত শহীদ মিনারে

পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন, রাঙ্গামাটির উপমহাপরিদর্শক মো: মোজাম্মেল হোসেন, শ্রম পরিদর্শক বিজ্ঞান জ্যোতি চাকমা, মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং পরাগ দাশ প্রমুখ।

 

 

এসময় উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি- ৩ পার্বত্য জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো: মোজাম্মেল হোসেন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে শাহাদাতবরণকারী সকল শহীদ এবং বীরশ্রেষ্ঠগণের আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে আমরা যে একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি- এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা এবং পরবর্তী প্রজন্মেও মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেয়া।

 

উল্লেখ্য, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রত্যুষে জেলা প্রশাসনের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১-এর ১৯ এপ্রিল বিকালে লে. খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে সেনা, ইপিআর, পুলিশ-সহ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল নানিয়ারচর বাজারে আসেন। পরের দিন ২০ এপ্রিল সকালে রণসাজে মুক্তিযোদ্ধাগণ বোটে আর লঞ্চে করে বুড়িঘাটের দিকে রওনা হন। সেখানে হ্রদের দিকে আসতে তিনটি টিলা। রাঙ্গামাটির দিক থেকে আসতে প্রথম টিলায় ৯-১০ জন যোদ্ধাসহ মুন্সী আব্দুর রউফ, বাকী দুটি টিলায় অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাগণ অবস্থান নেন। শত্রুপক্ষের ২য় কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের একটি কোম্পানি ৬টি ৩ইঞ্চি মর্টার নিয়ে ৩টি লঞ্চ ও ২টি স্পিটবোটে করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়ে। শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র-গোলাবারুদ ফুরিয়ে আসলে কমান্ডার সেনাদের পশ্চাদপসরণের নির্দেশ দেন। মুন্সী আব্দুর রউফ হালকা মেশিনগান হাতে অসীম সাহসের সাথে শত্রুদের সাথে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। এর ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের পশ্চাদপসরণ সহজ ও নিরাপদ হয়। তুমুল যুদ্ধের এক পর্যায়ে শত্রুদের মর্টারের গোলা এসে মুন্সী আব্দুর রউফ এর অবস্থানের উপর পড়ে। মুহুর্তে তার দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে চতুর্দিতে ছড়িয়ে পড়ে। শহীদ হন দেশমাতৃকার অকূতোভয় সন্তান মুন্সী আব্দুর রউফ।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......