1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
জয়পুরহাট পাঁচবিবির মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কর্মী ও সূধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের ফুলপুরে জুয়ার আসর পুড়িয়ে দিলো নব যোগদানকৃতওসি রাশেদুজ্জামান: শেরপুরের নবাগত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম মহোদয়ের যোগদান ও দায়িত্বভার গ্রহণ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ফলজ বৃক্ষ উপহার পেল শিক্ষার্থীরা কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ফুলপুর ইসলামী ব্যাংক ম‍্যানেজারের সাথে ফুলপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত। যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ফেনী জেলার সদর থানাধীন মাস্টারপাড়া এলাকা হতে ০১টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও  কার্তুজ উদ্ধার। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পেল সনদ শেরপুরে প্রতারণার ফাঁদে এক নারী জামায়াত আমিরের ‘ক্ষমা’ নিয়ে মাসুদ সাঈদীর স্ট্যাটাস

কর্ণফুলী রক্ষায় পাঁচ সংগঠনের মানববন্ধন: ১ মাসে মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কঠোর হুঁশিয়ারী

  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৬অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরের দুই সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করা, নতুন করে কর্ণফুলী দখল বন্ধ করা এবং সদরঘাট সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন সহ ৫ সংগঠন।

আজ রবিবার (১৬ অক্টোবর ২২) সকালে কর্ণফুলী নদীর তীরস্থ সদরঘাটে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ি ২০২০ সালের ৪ থেকে ৯ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৫দিন অভিযান চালিয়ে ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর কেন বাকি দুই হাজারের অধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি তা জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জনগণ জানতে চায়। সম্প্রতি কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স কর্তৃক উচ্ছেদকৃত স্থানে নতুন করে রাস্তাঘাট তৈরি করা হচ্ছে। গত ১৫ দিন থেকে এই দখল কার্যক্রম চলমান থাকলেও জেলা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। দেশের ৯২ শতাংশ অর্থনীতির সঞ্চালক কর্ণফুলী নদীর সকল অবৈধ  স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর উভয় তীরে ঠিকে থাকা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ৫৫৮ প্রকারের গাছ রক্ষা করতে হবে। জেলা প্রশাসন বন্দট কতৃপক্ষ নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করলে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। সেই সাথে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করার কারণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং বন্দর কতৃপক্ষকে আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। বক্তারা আরো বলেন কর্ণফুলী দিন দিন দখল ও দূষণের কারণে ইতিমধ্যেই ৬৩ প্রকার নদীর মাছ প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। সম্প্রতি ইকো নামের একটি সংগঠনের গবেষণায় দেখা গেছে কর্ণফুলী নিয়ে মাছরাঙ্গা টিভির বিশেষ প্রতিবেদনে বললাম,

ইকো নামে একটি সংগঠনের গবেষণায় বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত কর্ণফুলীর দুই তীরে ৫২৮ প্রজাতির উদ্ভিদ শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৮১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির পথে আছে। দূষণ ঠেকাতে উদ্যোগ না নিলে আরও ৬১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিপন্ন হয়ে যাবে।

আমাদের বক্তব্য হচ্ছে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কর্ণফুলীর উভয় তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে ফলজ ঔষধি এবং প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট বৃক্ষ জন্মানোর সুযোগ করে দিলে কর্ণফুলী তীরের বৃক্ষ বৈচিত্রতা অক্ষুণ্ন থাকবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কর্ণফুলী তীরের আর একটি গাছও থাকবে না।

সমাবেশে বক্তারা বিধ্বস্ত সদরঘাট সংস্কারের দাবী জানান। চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধন সমাবেশে বক্তাব্য রাখেন,  সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক নোমান সিদ্দিকী, সভাপতি চৌধুরী ফরিদ,  সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, কর্ণফুলী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সহ সভাপতি জাফর আহমদ প্রমুখ।

মানববন্ধন সমাবেশে অংশ নেয়া অন্য সংগঠনগুলে হচ্ছে, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, সৃষ্টি, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন ও ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতি।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......