1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
-:একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি:- পবিত্র ঈদ – এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে গোপালগঞ্জে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বরগুনায় তুচ্ছ ঘটনায় আহত-২ ” খাবারের ভাতে প্রসাব করলেন প্রতিপক্ষ পুলিশ লাইন্স একাডেমি এডুকেশন কর্তৃক পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপন কালাই কাঁটাহার দাখিল মাদ্রাসায় মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে, বন্দর থানার গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রীকে হত্যা মামলার পলাতক আসামি ঘাতক স্বামী কাজী মোঃ পেয়ার আহম্মদ প্রকাশ রিপন গ্রেফতার।  র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র পৃথক অভিযানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি কুখ্যাত  সন্ত্রাসী মোঃ ইসতিয়াক আলী ওয়াছিফ গ্রেফতার। বটিয়াঘাটায় মামলাবাজ কালাম মাস্টারের ষড়যন্ত্রের শিকার কেয়ারটেকার সরো গত ১৪-০৯-২৪প্রকাশিত একটি দৈনিকে বাড়ি দখলের যুবদল নেতার শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জন যাত্রী

শরীয়তপুরে সন্তান জন্মের আধাঘণ্টা পর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন মা।

  • আপডেট সময়ঃ বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৯৪ জন দেখেছেন

রিপোর্টঃ মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ শরীয়তপুর প্রতিনিধি। সন্তান জন্মের আধাঘণ্টা পর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন মা সন্তানের সাথে মা শায়লা আক্তার।প্রসববেদনা নিয়ে ভোরে শরীয়তপুর সদরের রূপসী বাংলা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী শায়লা আক্তার। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর পরীক্ষা শুরু হবার আগেই ছুটে যান কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে।

নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিয়ে আবারও হাসপাতালে নবজাতকের কাছে ছুটে আসেন শায়লা। শায়লা শরীয়তপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নীলকান্দি এলাকার সবুজ মিয়ার স্ত্রী।

শায়লার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আংগারীয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী শায়লা আক্তার। তিনি পাশের আংগারীয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নীলকান্দি এলাকার সবুজ মিয়ার সাথে বিয়ে হয় শায়লা আক্তারের। এরপরে সন্তান সম্ভবা হন শায়লা। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। ওই অবস্থায় তিনি পরীক্ষা দিতে থাকেন।

আজ মঙ্গলবার ছিল তার ভূগোল পরীক্ষা। রাতে প্রসব বেদনা উঠলে ভোরে তাকে জেলা সদরের রুপসী বাংলা হাসপাতাল অ্যান্ড  ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন স্বজনেরা। এরপর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের সময় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সুস্থভাবে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর শায়লা ছুটে যান পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে। হাসপাতাল থেকে আংগারীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার।

পরিবারের সদস্যরা শায়লাকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হন বেলা ১১টার আগেই। কেন্দ্র সচিব ও শিক্ষকদের সহায়তায় তিনি আসনে বসে পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা শেষে দুপুর দেড়টার দিকে আবার হাসপাতালে সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। তার এমন অদম্য ইচ্ছে শক্তি দেখে শিক্ষক ও সহপাঠীরা অভিভূত ও আনন্দিত। আর ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় খুশি পরিবারের সদস্যরা।

শায়লা আক্তার বলেন, ‘ছোট থেকেই পড়ালেখার প্রতি আমার অন্যরকম একটা অনুভূতি ছিল। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। সন্তান পেটে নিয়েই ৮টি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। আজ লিখিত পরীক্ষার শেষ দিনে আমার কোল আলোকিত হয়েছে। সুস্থভাবে পরীক্ষা দিতে পারায় আমি আমার পরিবার শিক্ষক ও চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন আমি আমার কন্যা সন্তান সুস্থ আছি।’

শায়লার মা ইয়াসমিন আক্তার জানান, ‘আমি আমার মেয়ে নিয়ে অনেক গর্বিত। ছোটবেলা থেকেই ক্লাস বাই ক্লাস ও ভালো রেজাল্ট করেছে। এমন একটা অবস্থায় যে ও পরীক্ষা দিবে তা কখনোই কল্পনা করতে পারিনি।’

শায়লার স্বামী সবুজ মিয়া বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু আগে থেকেই শায়লা আমাকে বলতো আমাকে তুমি শুধু একটু পড়ালেখার বিষয়ে সাপোর্ট দিও। স্বামী হিসেবে যতটুকু পেরেছি সব সময় ওকে সাপোর্ট দিয়ে গিয়েছি পড়ালেখার বিষয়ে। সন্তান জন্ম নেয়ার সাথে সাথেই ও পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিবে কখনই কল্পনা করতে পারিনি। আল্লাহ আমার কন্যা সন্তান ও কন্যা সন্তানের মাকে নেক হায়াত দান করুক।’

রূপসী বাংলা হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ডি কে সঞ্জয় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নরমাল ওয়েতেই তার সন্তান জন্ম নিয়েছে। তার এক্সামের কথা আমাদেরকে তিনি জানান। তিনি প্রচণ্ড ইচ্ছে শক্তি নিয়ে আমাদেরকে বলল। আমরা দেখি শারীরিকভাবে তিনি সুস্থ আছেন। পরিবারের সম্মতি নিয়েই এক্সাম দিতে যায়। এখন তার সন্তান এবং তিনি সুস্থ আছেন।’আংগারীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আনোয়ার কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মানুষের ইচ্ছা শক্তি থাকলেই যে মানুষ তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। এর বড় উদাহরণ এই শায়লা। প্রসব বেদনা উপেক্ষা করে সে পরীক্ষা দিয়েছে। আমরা একজন নারী চিকিৎসক উপস্থিত রেখেছিলাম তার জন্য। তার এই অদম্য ইচ্ছে শক্তি সত্যিই আমাদেরকে অভিভূত করেছে।’

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......