শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
রিপোর্টঃ মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ শরীশতপুর প্রতিনিধি:- শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তৃক পরিবেশ দূষণ ও বর্জ্য দূষণকারী অবৈধভাবে চুল্লি তৈরি করে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। রবিবার ২৮আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫ টায় গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফি বীন কবির, সহকারী কমিশনার ভুমি সুজন দাশগুপ্ত ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরীয়তপুর কার্যালয় কর্তৃক এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার দায়ে রাসেল (২৮) আলাউদ্দীন (৪০) ও নাসির হাওলানার(২৮) নামের তিনজনকে আটক করে আটকৃত সবাই স্থানীয় বাসিন্দা তারা দিনমজুরি হিসেবে কয়লা তৈরির কারখানায় কাজ করে বলে জানিয়েছেন এ সময় কয়লা তৈরীর মালিককে পাওয়া যায়নি এ সময় এই অবৈধ চুল্লি জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
এরপরে আটককৃতদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একবছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন গোসাইরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুজন দাশগুপ্ত।
প্রতিদিন আড়াইশ মন কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা দূষিত হছে পরিবেশ শ্বাসকষ্ট সহ হুমকিতে জন স্বাস্থ্য জীবন।
গোসাইরহাট উপজেলার মধ্য মাছুয়াখালীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানার সন্ধান পাই গোসাইরহাট উপজেলা ইদিলপুর ইউনিয়নের মধ্য মাছুয়াখালীতে কয়লা কারখানা যেখানে পাঁচটি চুল্লি তৈরি করেছেন সেইসব চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানো হয় আর সেই কয়লা ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।
শরীয়তপুর পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ রাসেল নোমান জানান কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হুমকিতে পরিবেশ অবৈধ চুল্লিতে অবাধে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কয়লা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বিভিন্ন ফরজ গাছ কেটে এসব চুল্লিতে কাঠ সরবরাহ করা হচ্ছে আর সেই কাঠ পুড়িয়ে কয়লা এসব চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ ও জীব বৈচিত্রের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনস্বাস্থ্য, কমে যাচ্ছে জমির উর্বরতা তাই শরীয়তপুর জেলা পরিবেশ সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।অভিযানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন গোসারহাট থানা পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনী।