1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
চট্টগ্রাম সি ই পি জেড এ কর্মরত তহমিনা নামের এক গার্মেন্টস কর্মী নিখোঁজ কালাইয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারির অবস্থান কর্মসূচি খুলনা বটিয়াঘাটায় বিএনপি নেতা সামসুল ও শফিকুল কে দল থেকে বহিষ্কার দাম্ভিকতার কারণেই হাসিনা সরকারের পতন- মির্জা ফখরুল যুবদল নেতার উপর হামলার বিচারের দাবিতে আমতলীতে বিক্ষোভ সমাবেশ সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অভিনব পন্থায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ডাঃ সাইফুল্লাহ চট্টগ্রামে  গ্রেফতার।  র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রজনতার উপর হামলাকারী বাকলিয়ার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কথিত যুবলীগ নেতা মোঃ সাদ্দাম গ্রেফতার। গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত 0১,আহত-0 ৫ ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনানী বাজারে গণঅধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

কলারোয়ার কাকডাঙ্গা সীমান্তে পরিত্যক্ত মর্টারসেল উদ্ধার

  • আপডেট সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৮ জন দেখেছেন

জুলফিকার,আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার  কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছী ইউনিয়নের কাঁকডাঙ্গা সীমান্তের কুঠিবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাইদুজ্জামান (৩০) এর বাড়ি থেকে পরিত্যক্ত একটি মর্টার সেল উদ্ধার করেছে  বিজিবি সদস্যরা। বুধবার বিকাল ৩ টারদিকে স্থানীয়সূত্রে সংবাদ পেয়ে টহলরত বিজিবি সদস্যরা মর্টার সেলটি উদ্ধার করে। মর্টারসেলটির বিষয়ে কাঁকডাঙ্গা ক্যাম্পর বিজিবি সদস্যরা জানান- কাঁকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের সামনের মাঠে মৃত ইব্রাহিমের ছেলে ইসমাঈলের  মৎস্য ঘের থেকে কুঠিবাড়ী গ্রামের সাইদুজ্জামান তার বাড়িতে মাটি ভরাটের জন্য মাটি কিনে নিয়ে এসে মাটি ভরাটের সময় মাটির ভিতরে মর্টার সেলটি দেখতে পেয়ে নিজের বাড়িতে রেখে দেয়।

 

পরবর্তীতে সংবাদ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা মর্টার সেলটি উদ্ধার করে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। স্হানীয় পর্যায়ের ধারণায় জানাযায় মর্টার সেলটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ব্যবহার হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

সাতক্ষীরার কলারোয়ার নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশিয় দোসরদের হাতে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিকামী জনতার গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত ও সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন উপজেলার একাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

 

বর্তমানে অযত্ন-অবহেলা আর অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে চিহ্নিত অধিকাংশ গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো।

এছাড়া সংশিষ্ট মহলের এ বিষয়ে দীর্ঘদিন কার্যকরি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ৭১’র গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা না হলে বর্তমান এবং নতুন প্রজন্ম কলারোয়ার মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস অজানা থেকে যাবে। এদিকে স্থানীয় সুশীল সমাজের দাবি, বছরের বিশেষ একটি দিনে নয়, কলারোয়ার চিহ্নিত গণকবর, বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ, ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুতহস্তক্ষেপ এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা শহীদের গণকবরের সঠিক সন্ধান ও সংরক্ষণের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধে কলারোয়ার সঠিক ইতিহাস জানতে আগ্রহী করে তোলা।

‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ বই থেকে জানা গেছে, ১৯৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধে ৮নং সেক্টরের আওতাধীন কলারোয়া উপজেলার ৩৪৩জন কৃতি সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ২৭জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

বিজয়ের ১০দিন আগেই ৬ ডিসেম্বর কলারোয়ার মাটি পাক-হানাদারমুক্ত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা কলারোয়া থানার ভিতরে স্বাধীন দেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করে শত্রুমুক্ত করে প্রিয় জন্মভূমিকে।

কলারোয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯থেকে ১০টি সম্মুখযুদ্ধে লড়াই করেছেন। এসময় পাকবাহিনী এ দেশিয় দোসরদের সহযোগিতায় গণহত্যা ও সম্মুখযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মরদেহ মাটিতে পুঁতে রেখে দেয় নরপশু পাকসেনারা। কলারোয়া উপজেলায় এ পর্যন্ত ৯টি গণকবরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। এরমধ্যে কলারোয়া পৌরসদরে উত্তর মুরারীকাটির পাল পাড়ায় (৯জন), কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল ফুটবল মাঠের দক্ষিণে (৫জন), সোনাবাড়ীয়া মঠমন্দির এলাকায় (৩জন) সোনাবাড়ীয়া মোড়ে (৩জন), ভাদিয়ালীতে (৪জন),বামনখালী ঘোষ পাড়ায় (৩জন), চন্দনপুর গয়ড়া বাজারে (২জন), কেঁড়াগাছির বালিয়াডাঙ্গা বাজারে (৭জন) ও পার্শ্ববতী যশোর জেলার শার্শা থানার জামতলা বাজারের সন্নিকটে (৫জন)। তবে এসব অধিকাংশ গণকবরই পড়ে আছে অযতœ আর অবেহলায়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বই সুত্রে আরো জানা যায়, ১৯৭১’র ২৮ এপ্রিল পাক-হানাদার বাহিনী কলারোয়া পৌরসদরের উত্তর মুরারীকাটি পালপাড়ায় বৈদ্যনাথ পাল, নিতাইপাল, বিমলপাল, সতীশপাল, রামপাল, গাটুপাল, অনিলপাল, গোপালপাল ও রঞ্জনপালকে (৯জন) সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে গুলিকরে হত্যা করা হয় (স্বাধীনতা পরবর্তীতে বেশ কয়েক বছর পর গণকবরটি স্থানান্তর করা হয়)। এছাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বালিয়াডাঙ্গা বাজারে তিন রাস্তামোড়ে গণকবরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন ৭জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী করা হলেও স্থানীয়রা জমি দখল করে দোকান ঘরনির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। যার কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে স্মৃতিস্তম্ভটি।

উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী ভাদিয়ালী গ্রামেবাংলাদেশ-ভারত বিভক্তকারী সোনাই নদীর তীরে ৪জন শহীদের গণকবর রয়েছে।

উপজেলার সোনাবাড়িয়া মোড়ে গণকবরে শায়িত আছে ২জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, একই এলাকায় মঠ মন্দির সংলগ্ন স্থানে রাজাকাররা ৩জন বীর সেনানীকে হত্যার পর মাটি চাপা দিয়ে রাখে।

উপজেলার বামনখালী ঘোষপাড়ায় ৩জনকে পাক-হানাদাররা হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখে। এদিকে পাক-বাহিনী তাদের এদেশিয় দোসরদের সহযোগিতায় কলারোয়া থানার পিছনে (সরকারি হাইস্কুল ফুটবল মাঠের দক্ষিনে) ০৫ জন বীর সেনানীকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......