বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৯:২২ অপরাহ্ন
মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা থেকে।
বটিয়াঘাটা উপজেলার ঈদুল আজহার ছুটির দিনেও বসে নেই বটিয়াঘাটা কৃষি বিভাগ। তারা অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ অব্যহৃত রেখেছে।
সুরখালী ইউনিয়নের গরিয়ারডাঙ্গা গ্রামে প্রায় ৩০ -৪০ জন কৃষক কৃষাণীদের নিয়ে ঘেরের পাড়ে অপ সিজন তরমুজ ও গ্রীষ্ম কালীন টমেটো চাষাবাদ পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ প্রদান করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার বিশ্বাস।
এদিকে জলমা ইউনিয়নের রাঙ্গেমারী ও সাচিবুনিয়া ও দরগাতলা গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষক কৃষাণীদের সাথে রোপা আমন ধানের স্বল্প মেয়াদি ধানের জাত চাষাবাদ এবং তুলনামূলক উঁচু স্থানে বীজতলা তৈরি,মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ধৈঞ্চার চাষ সম্প্রসারণ ও বসত বাড়ির পতিত জমির সদ্ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন বিষয়ে উঠান বৈঠক করছেন
সংশ্লিষ্ট এলাকার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ রায়,তিনি বলেন,পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে কৃষির উৎপাদন সঠিক রাখতে আমরা সব সময় কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। রাঙ্গেমারী গ্রামের কৃষক অশোক বকসী বলেন, ঈদের ছুটিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেয়ে আমরা খুব খুশি। রোপা আমন মৌসুম শুরুর পূর্বে পানির লবনাক্ততা মেপে( ০.৯৪ ডিএস/মি) দ্রুত বীজতলা তৈরি পরামর্শ দিচ্ছেন বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কমলেশ বালা।
সার্বিক বিষয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক মুঠোফোনে বলেন, কৃষি কাজে উৎপাদন বৃদ্ধি যাতে ব্যহত না হয় এ লক্ষ্যে আমরা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব দিয়েছি এবং কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে।
সার্বিক বিষয় খুলনা কৃষি দপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন,ঈদুল আজহার ছুটিতে কৃষির উন্নয়ন যাতে বিগ্ন না হয় এ লক্ষ্যে প্রতি টি উপজেলায় নির্দেশনা দিয়েছি। তাছাড়া কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। ঈদের ছুটিতে সংশ্লিষ্ট কর্তারা কৃষকের পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।