বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৮:১৭ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি:
সারা দেশের ডেঙ্গু রোগীর প্রায় এক চতুর্থাংশ শনাক্ত হয়েছে বরগুনা জেলায়। এখন পর্যন্ত এ জেলায় ১৫০০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালেই মৃত্যুর রেকর্ড ৩ জনের, বাকিরা বিভিন্ন বেসরকারি ও অন্যান্য হাসপাতালে।
বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। কিন্তু ১২ লাখ মানুষের এই জেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটিতে কর্মরত ডাক্তার মাত্র ১০ জন, যার মধ্যে ৫ জন ছুটিতে রয়েছেন।
বরগুনাকে এখনও “ডেঙ্গু হটস্পট” হিসেবে ঘোষণা না করা এবং জরুরি ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপি এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রেসক্লাব চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী কর্মীরা এবং পরে বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপি মানববন্ধন করে। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে সাবেক এমপি জাফরুল হাসান ফরহাদের কন্যা মোনালিসা জেরিন এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লার কন্যা উপমা-সহ অনেকের। এ ঘটনাগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে দিয়েছে।
নাসরিন আক্তার শিমু, ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী বলেন, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনের উদাসীনতা এই মৃত্যুর জন্য দায়ী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে শত শত মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
বরগুনা প্রেসক্লাবের মধ্যস্থতায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফোরাম গঠন করা হয়েছে। এই ফোরামের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে। কিন্তু এখনো দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।
অ্যাড. সোহেল হাফিজ, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, এমন সংকটময় সময়ে সিভিল সার্জনসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের ছুটিতে যাওয়া অবিশ্বাস্য। মাত্র ১০ জন ডাক্তার নিয়ে ১৫০০ ডেঙ্গু রোগী সামলানো সম্ভব নয়। এদিকে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা তার নির্দেশে সাথে থাকা লোকজন হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্ব নেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ দেন তিনি।
ফিরোজ উজ জামান মামুন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও সচিব কেন এখনও বরগুনা আসেননি, সেটার জবাব দিতে হবে। এই চরম ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৫০০+ মৃত্যু ১০ জনের, অব্যবস্থাপনা চরমে। ডাক্তার মাত্র ১০ জন, তার মধ্যে ৫ জন ছুটিতে,ডেঙ্গু হটস্পট ঘোষণা না হওয়ায় ক্ষোভ ,সাধারণ মানুষের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ
পদত্যাগ দাবি উঠেছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিরুদ্ধে।