বিশেষ প্রতিনিধি :- চট্টগ্রাম মহানগরীরর বন্দর থানাধীন ধুমপাড়া সাগর পাড় এলাকায় আবু সামাদ মিয়ার অবৈধ বেকারী বিস্কুট, কেক তৈরীর কারখানায় নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল সামগ্রী দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বেকারী পণ্য, জানিয়েছেন ধুমপাড়া এলাকাবাসী। এলাকার অলি গলি মহল্লার ছোট ছোট চায়ের দোকান থেকে শুরু করে শহরের বড় বড় নামিদামি বেকারিতেও হরদুম বিক্রি হচ্ছে খোলামেলা বেকারী তৈরী বিস্কুট, পাউরুটি, কেক সহ নানা বাহারি মুখরোচক খোলা খাবার।

কখনও কেউ ভেবে দেখেছেন এই খাবারগুলো কোথা থেকে তৈরী হয়ে আসছে বা কোথায় তৈরী হচ্ছে? কি দিয়ে তৈরী হচ্ছে এসব খাবার। খাদ্যপন্য মাননিয়ন্ত্রণ ও যাচাই করার দায়িত্বে যারা আছেন তারা কি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন? এক কথায় না।

সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামসহ ২০-২৫টিরও বেশি রুটি, বিস্কুট ফ্যাক্টরী রয়েছে। এসব বেকারীগুলোতে এসব তৈরী হচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নানান ধরনের খাবার। নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্ন মানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরী করা হচ্ছে বেকারী সামগ্রী। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরী খাবার রাখা আছে সেখানেই আটা ময়দা সাড়ি সাড়ি করে রাখা।

রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ক্যামিকেল এবং একাধিক ড্রামে পাম অয়েল আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরী পণ্য ও জ্বালানি কাঠের লাকড়ি। কারখানায় রুটি বিস্কুট কেক অন্যান্য সামগ্রী তৈরী শ্রমিকরা খালি গায়ে ও খালি পায়ে এসব পণ্য পাশ দিয়ে হাটাহাটি করতেও দেখা যায়। আটা ময়দা প্রক্রিয়াজাত করাণো কড়াইগুলো রয়েছে অপরিস্কার ও নোংরা। উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ছাড়াই নামি দামি বাহারি মোড়কে বন রুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, পুডিং সহ বিভিন্ন ধরনের বেকারী সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে।

বিএসটিআই ও ভ্রাম্যমান ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কতর্ৃক মাঝে মাঝেই এসব কারখানায় অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানা করা হয়। এর পর উক্ত কারখানায় মালিকরা আরো বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছে তাদের পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম। তাছাড়া এসব বেকারীর মালিকরা বিভিন্ন বেকারী মোড়কে ২নম্বর খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে বিভিন্ন চায়ের দোকানে সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফজরের পর পরই এসব অবৈধ বেকারী কোম্পানির ভ্যানে বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকানে ও খোলা বিস্কুট বিক্রয়ের দোকানগুলোতে এসব পণ্য পৌছে দেন ডেলিবারী ম্যানরা।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভেজাল কেমিকেল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরী করা এসব খাবার সামগ্রী খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে। পেট ব্যাথা, শরীর দুর্বলসহ জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী রয়েছে।

এ বিষয়ে ধুমপাড়া সাগর পাড় এলাকায় অবস্থিত বেকারীর কারখানার মালিক আবু সামাদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আমি তৈরী করি, আমিই বিক্রি করি আমার কোন লাইসেন্স কাগজপত্র কিছুই নাই। মাঝে মাঝে টুয়েন্টি ফোর চ্যানেলের ফজর আলী আমার কারখানায় আসত তার সাথে আমার কথা আছে। আমি আগামীতে লাইসেন্স করার চেষ্টা করব।

এ বিষয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগ এর পরিচালক জনাব মোহাম্মদ ফয়েজ উল্ল্যাহ উপ-পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়, টিসিবি ভবন, ২য় তলা, বন্দরটিলা, চট্টগ্রাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান অবৈধ কারখানাটির ঠিকানাটি আমাদেরকে জানান আমরা অভিযান পরিচালনা করিব।