1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
  2. mdalamin0972@gmail.com : alamin :
শিরোনামঃ
ঢাকায় ৯৯ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি গোমস্তাপুরে এক ফার্মেসীকে অর্থদণ্ড  ইপিজেডে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম’র উপর হামলায় থানায় মামলা মূল হোতা আটক -০৩  নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে ব্যতিক্রমী কর্মশালা: অর্থনৈতিক মুক্তির পথে নতুন দিগন্ত সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড, কিট প্যারেড এবং মাসিক কল্যান সভা ও অপরাধ সভা অনুষ্ঠিতঃ ফুটবলপ্রেমীদের মিলনমেলায় শেষ হলো ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’ ক্ষেতলালে জমজমাট ফুটবল ফাইনাল: চ্যাম্পিয়ন গোপীনাথপুর! খুলনা লবনচরা থানার মারামারি মামলায় স্বাধীন দাসকে আটক করেছে পুলিশ এক প্রতিবাদ সম্মেলনে মীর শাহে আলমের নেতৃত্বে শিবগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু খুলনা বিএনপি ৬টি আসনে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা

ইপিজেডে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম’র উপর হামলায় থানায় মামলা মূল হোতা আটক -০৩ 

  • আপডেট সময়ঃ সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
  • ৯১ জন দেখেছেন

মো: রুবেল হোসেন,চট্রগ্রাম প্রতিনিধি :

চট্রগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন, বন্দরটিলা,শাহ প্লাজার উপরে গত ১৮ জুন ২০২৫ খ্রিঃ / তারিখ রাত অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম’র উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বিবরণে মামলার বাদী সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জানায় যে, আমি পেশায় একজন সংবাদ কর্মী। আমি আমার মামলায় বর্ণিত বর্তমান ঠিকানার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করি। আমার ছোট ছেলের অসুস্থতা জনিত কারণে আমার বড় ছেলে রমজানুল হক নাঈম (২১) শাহ প্লাজার উপরে একটি ব্যাচেলার রুমে থাকত। মামলায় বর্ণিত ১নং বিবাদী উক্ত বিল্ডিংয়ের ইনচার্জ। আমার বড় ছেলে রমজানুল হক নাঈম (২১) কেইপিজেডস্থ কেনপার্ক-০২ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করে। গত ১৮ জুন ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় আমার বড় ছেলে রমজানুল হক নাঈম (২১) গার্মেন্টস হইতে শাহ প্লাজার উপরে তাহার ব্যচেলার বাসার সামনে গেলে পাশের রুম হইতে ডাক-চিৎকার শুনিয়া ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলাস্থ শাহ প্লাজার ৫ম তলার সামনে আগাইয়া গেলে নিম্ম বর্নিত আসামীদের উক্ত রুমের ব্যাচেলার ছেলেদের সাথে মারামারি করা অবস্থায় দেখিতে পায়। একপর্যায়ে উল্লেখিত বিবাদীরা আমার ছেলে রমজানুল হক নাঈম (২১)কে উক্ত স্থানে দেখিতে পাইয়া আমার ছেলের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায়ে ১নং বিবাদী মোঃ ফোরকান (৩৮) এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলে রমজানুল হক নাঈম (২১) এর মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারিলে উক্ত বারি আমার ছেলের মাথার উপরিভাগে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার বিষয় আমি জানতে পারিয়া আমার ছেলেকে সঙ্গে নিয়া তাকে মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করার জন্য ইং ১৮ জুন ২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলাস্থ শাহ প্লাজার ২য় তলার অফিস কক্ষে উপস্থিত হই। তখন সকল বিবাদীরা উক্ত অফিস কক্ষে ছিল। তাদেরকে পাইয়া আমার ছেলে রমজানুল হক নাঈম (২১)কে মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে সকল বিবাদীরা আমার সাথে তর্ক বিতর্কে লিপ্ত হয়। তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে বিবাদীরা আমার সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হইয়া উল্লেখিত শাহ প্লাজার ২য় তলার অফিস কক্ষে আমাকে ও আমার ছেলেকে আটকে রেখে এলোপাতাড়ীভাবে কিলঘুষি মারিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী আমার নাকে ও মুখে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারে। তাহার ঘুষির আঘাতে আমার দুই চোখ গুরুত্বর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়। আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার ছেলে সহ আমার সহকারী মোঃ জহির (২৭) ও মোঃ সাইফুল (৩৬) স্বয় আগাইয়া আসিলে ২নং বিবাদী মোঃ মনিরুল ইসলাম (২৮) সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাহাদেরকে এলোপাতাড়ীভাবে পিটাইয়া তাহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। মারধরের এক পর্যায়ে আসামীরা আমার শার্টের বুক পকেটে থাকা ১২,৭০০/- (বার হাজার সাতশত) টাকা চুরি করিয়া নিয়া যায়। তখন আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের বাসার লোকজন আগাইয়া আসিলে সকল বিবাদী আমাদের খুন জখমের হুমকি সহ বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি প্রদান করে। পরবর্তীতে আমার চোখের আশংকাজনক অবস্থা ও আমার ছেলের মাথার গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম দেখিয়া আশপাশের লোকজন আমাদের দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে চমেক হাসপাতালে আমি ও আমার ছেলের চিকিৎসা গ্রহন করি।

 

পরবর্তীতে ১। মোঃ ফোরকান (৩৮), পিতা- মৃত সিদ্দিক আলম, মাতা- মোছাঃ জহুরা বেগম, সাং- জুইদল্লী, পোঃ-বুরুমছড়া,থানা-আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে- শাহ প্লাজা মার্কেট, ৫ম তলা, রুম নং- ৫২৩, বন্দরটিলা থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ মনিরুল ইসলাম (২৮), পিতা- আব্দুস সালাম, মাতা- নুর বানু, সাং- চর ফয়েজউদ্দিন, ডাকঘর হাজিরহাট, খানা-মনপুরা, জেলা-ভোলা, বর্তমানে শাহ প্লাজা, ৫ম তলা, রুম নং- ৫৭১. বন্দরটিলা, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম, ৩। মোঃ নুরুল ইসলাম (৫৪), পিতা- মৃত সৈয়দ আলী, মাতা- মোছাঃ জরিফা খাতুন, সাং- বড় তোফা, পোঃ-চুরিয়া বিষ্ণুপুর, থানা-লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা, বর্তমানে শাহ প্লাজা, ৪র্থ তলা, রুম ফ্যামিলী-০৫, বন্দরটিলা, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রামগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনেরর বিরুদ্ধে গত ২২ জুন ২০২৫ খ্রি: ১৪৩,৩২৩,৩২৪,৩০৭,৩৪১,৩৭৯,৫০৬ দন্ড বিধিধারায় মামলা করিয়াছি।

 

এ বিষয় ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ জানায় বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করি এবং দ্রুত তিন জন আসামী আটক করেছি, তাদেরকে  আদালতে

প্রেরন করিলে, বিজ্ঞ বিচারক ১ নং আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করেন বাকি দুইজনাে জামিনে মুক্তি করে দেন।

 

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......