মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ মাসুদ, নরসিংদী প্রতিনিধ:
নরসিংদীর শেখেরচরে তিতাস রোড , মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন এর মেয়ে সুমনা আক্তার তিথী(১৩) কিশোরীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা ও তার মাকে আহতের ঘটনায় লুট হওয়া ১০ লক্ষ ১ হাজার ১০০ টাকা ও বিভিন্ন আলামতে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইংরেজি তারিখ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।
তিথী হত্যাকাণ্ডের গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ফরিদপুর জেলার মধুখালি থানার পাঁচই এলাকার বাসিন্দা ফরিদ হোসেনের ছেলে মো. রমজান শেখ ওরফে লিমন (২২), তার বড় ভাই হাসিবুর রহমান শান্ত (৩১), নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গণ্ডা এলাকার বাসিন্দা ইহসান মিয়ার ছেলে মো. কাউছার মিয়া (২০) এবং নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার চর গোয়াশ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল খালেক ওরফে বাবলুর ছেলে মো. ইমন আলী (২১)। তারা উভয়ই শেখেরচর এলাকার ভাড়াটিয়া।
পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিদেশ হতে পাঠানো মোটা অংকের টাকা লুট করতে শেখেরচর এলাকার ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে ঢুকে গ্রেপ্তারকৃতরা। এসময় ৭ বছরের প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে বাথরুমে আটক রাখে তারা। পরে বাসায় থাকা টাকা লুট করার সময় বাধা দিলে গৃহবধূ আসমা বেগম (৪৫) ও তাদের মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমনা আক্তার তিথী কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে তিথীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত মা আসমা বেগম ঢাকার একটি হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিওতে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদী, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা ও বরিশালে অভিযান চালিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া ১০ লাখ ১ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আসামি রমজান শেখের পায়ের রক্তের দাগ যুক্ত একজোড়া কাপরের জুতা, ১টি হাতুড়ি, সিমকার্ড সহ ৩টি এন্ড্রয়েড ও ২টি বাটন মোবাইল, রক্তযুক্ত একজোড়া হাতের সাদা গ্লাভস, আনুমানিক ৩ফিট লম্বা রক্তযুক্ত ৩টি কালো রশি, একটি কালো মাক্সসহ ভিকটিমদের পোষাকের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে দেওয়া জবানবন্দীতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৃহকর্তা মোফাজ্জল হোসেন ঘরে ঢুকে স্ত্রী ও সন্তানকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তাতক্ষণিক পুলিশকে অবগত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান ।