1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মোঃ রায়হান’কে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১১। সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যানজট সৈনিক কল্যাণ সংস্থা Uno নিকট খেজুরের বীজ প্রদান বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান ও মাস ব‍্যাপি সাংগঠনিক কর্মসূচি 2024 সম্পন্ন। বরগুনার তালতলীতে অবৈধ চোলাই মদসহ আটক ১ জন। “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়”– “শিক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের আন্তরিকতা প্রশংসনীয়” শেরপুরের ঝিনাইগাতী তিনজন হোটেল মালিককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা ২ কেজি গাঁজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী বরগুনা ডিবি পুলিশের হাতে আটক।

খুলনার ফুলতলা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে বেপরোয়া অবৈধ কর্মকান্ড

  • আপডেট সময়ঃ শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৪৮ জন দেখেছেন

স্টাফ রিপোর্টার, ফুলতলা উপজেলা, খুলনা।খুলনা জেলার অন্তর্গত ফুলতলা উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে চলছে নানা অনিয়ম।এই অনিয়ম পরিচালনা করছে সেখানকার নায়েব সাহেব। নায়েব সাহেবের কাছে ঘুষ ছাড়া কোন কাজের যেন নিয়মই নেই।এই অফিসে রয়েছে আর এক দালাল সোবহান। তিনি অফিসে এমন ভাবে বিচরণ করে,যেন তিনি অফিসের বড় কর্মকর্তা। নায়েবের সাথে সুন্দর সম্পর্ক রেখে দালালি করেই চলছে তার জিবন‌।সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত অফিস সহায়ক থাকার পরেও সোবহান সাহেব রেকর্ড রুমের কাগজ পত্র দেখাশোনা করেন।এ দায়িত্ব তাকে কে বা কারা দিয়েছে সেটা এখন প্রশ্নবিদ্ধ!!!

 

গত ১২/০৯/২০২২ রবিবার ফুলতলা গোডাউন রোডের বাসিন্দা তৌহিদ ইমাম নামে এক ভদ্রলোক গিয়েছিলেন ফুলতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। তিনি সেখানে গিয়ে যে ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন সে বিষয়ে ফেইসবুকে একটি স্টাটাস দেন।আমরা মুঠো ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি । তিনি আমাদের কে বলেন

 

গতকাল 12/09/2022 ইং তারিখ ফুলতলা ভুমি অফিসে গিয়েছিলাম ধোপাখোলা মৌজার একটি দাগের খাজনা কাটতে। আমার ঐ জমির খতিয়ানে মাত্র ছয়টি দাগ, তার মধ্যে পূর্বেই পাচটি দাগের জমি বিক্রয় করা হয়েছে। একটি মাত্র দাগের খাজনা তিন বছরের জন্য বাকী ছিল।সেটা পরিশোধের জন্য যাই ভুমি অফিসে।

 

নায়েব সাহেব আসলেন সকাল সাড়ে নয়টায়। আমি উনাকে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করলাম। নায়েব সাহেবকে বললাম, আমার এই দাগের তিন বছরের খাজনা বাকী আছে, আমি পরিশোধ করব।  উনাকে খাজনা আদায়ের কথা বললে, উনি বললেন ঠিক আছে আমি এখন চা পান করব তারপর একটু বিশ্রাম নিব তারপর আপনার সাথে কথা বলব। তিনি সকাল দশটার সময় আমার সাথে কথা বললেন,  নায়েব বলল এক দাগের খাজনা নেওয়া যাবে না, সম্পূর্ণ খতিয়ানে যে কয়টি দাগ আছে, সবকটি দাগের খাজনা দিতে হবে। আমি উনাকে বললাম, অন্য দাগের খাজনা পরিশোধ করে বিক্রয় করা হয়েছে। তাহলে আমি কেন সব দাগের খাজনা দিব? তিনি বললেন এভাবে কম্পিউটারে নিবে না। তিনি আমাকে কম্পিউটারে ম্যানুয়ালে ক্যালকুলেশন করে বললেন 27,900 টাকা দিতে হবে। আমি বললাম কিভাবে সম্ভব? তিনি বললেন, আপনি দেখলেন তো। তাহলে আমি কিভাবে নিব। পরবর্তীতে আমি খাতায় হিসাব দেখতে বললে তিনি আমার সাথে রুঢ় আচরণ এবং খাজনা আদায়ে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বেরিয়ে যাওয়ার বাহানা করলেন। আমি কোন উপায় না পেয়ে উনার হাত চেপে ধরলাম এবং বললাম আপনাকে পাচ হাজার টাকা দিব আপনি আমার দাখিলা কেটে দিন। তিনি একটু নরম হয়ে দাখিলা কেটে দিল।

 

শুধু এই তৌহিদ ইমাম নয়, আরো অনেক মানুষ আছে যারা এধরণের সমস্যার ভুক্তভোগী।এই এলাকার মানুষ দ্রুত কর্তৃপক্ষকে এই ভুমি অফিসের দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......