রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
রিয়াজ উদ্দিন, চট্টগ্রামের বন্দর থানাধীন ৩৮ নং ওয়ার্ড কমিশনার গলি মন্নান বিল্ডি এলাকায় সাবিনা বেগম নামে (৩০) বছরের একনারী যৌতুকের টাকার জন্য প্রতিদিন নির্যাতন করছেন সাবিনা বেগমকে অভিযোগ উঠেছে স্বামী রিয়াদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সাবিনা বেগম এর পিতা আব্দুল সালাম হাওলাদার,মাতা-মোছাঃ রোখসানা বেগম,গ্রাম-নামাজপুর,থানা-পিরোজপুর
জেলা-পিরোজপুর।বর্তমান ঠিকানা,২ নং মাইলের মাথা কমিশনর গলি,মন্নান সওদাগরের বিল্ডিং এ সাবিনা বেগম এর বাবা দীর্ঘ ১৮ বছর এই বিল্ডিং এ বসবাস করে আসছে,বিগত ২০০৬ সালে সাবিনা বেগমের বিবাহ হয়,রিয়াদুল ইসলাম সাথে।
যৌতুকের এব্যাপারে সাবিনা বেগম সংবাদমাধ্যমকে বলেন,আমার স্বামী রিয়াদুল ইসলামের সাথে বিবাহ হয় ২০০৬ সালে,বিবাহের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য প্রতিদিন নির্যাতন করে বিবাহের আগে থেকে আমি চাকরি করে করতেছি,বিবাহের পরে ও চাকরি করতেছি,যতদিন চাকরি করে টাকা দিতে পারলে আমার স্বামী রিয়াদুল ইসলাম ভালো থাকে।একমাস টাকা দিতে না পারলে আমাকে প্রায় সময় টাকার জন্য নির্যাতন করছে। টাকার জন্য আমাকে মাঝ রাতে মারধার শুরু করে।
তিনি আরো বলেন,প্রতিমাসে বেতনের টাকা নিয়ে আমার স্বামীর হাতে দিতাম একমাস চাকরি না করলে আমার স্বামী রিয়াদুল ইসলাম আমাকে দা দিয়ে টুকরো টুকরো করে কল্লাটা হালাই দিমু বলে আমাকে ভয় দেখায়,আমার স্বামীর এমন ব্যবহার দেখে আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে আমার বাবার বাসায় ভয়ে চলে আসি।
তিনি বলেন,বিবাহের পরে ও আমার স্বামী আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় আমাকে নিয়ে বিচার শালিসি করে আমাকে ঘরে তুলে নেন,কিছু দিন ভালো থাকার পরে আবারো আমার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ করেন,অভিযোগ করার পরে বন্দর থানা থেকে আমাকে ভালোমন্দ কথা বলে আবারো আমার স্বামীর সাথে বাসায় পাঠিয়ে দেন।প্রায় তিনমাস ভালো থাকার পরে আবারো মানবাধিকারের অফিসে আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন,অভিযোগ করার পরে আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে সমাধান করে দেন,মানবাধিকার এর অফিস থেকে বলেছিলেন এর পরে আর কোন মারধর করবেন না বলে মিলিয়ে দেন।
তিনি বলেন,গত ১২/০৩/২০২৩ ইং তারিখে আবারো আমার স্বামী রিয়াদুল ইসলামের নির্যাতনের শিকার হয়ে আমি আমার বাবার বাসায় চলে আসি আসার ৪দিন পরে আবারো বন্দর থানায় গিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগে করেন আমার স্বামী রিয়াদুল ইসলাম।রিয়াদুল ইসলামের নির্যাতনের শিকারে আমি আমার সংসার ছাড়তে বাধ্য হয়েছি,আমি কোথাও গিয়ে কোন আইনের সহযোগিতা পাচ্ছি না।পরে চট্টগ্রাম বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি,বলে জানান এই ভুক্তভোগী সাবিনা।
সাবিনা ব্যাপারে রিয়াদুল ইসলামের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার স্ত্রী সাবিনা সেনিজে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার বাসা থেকে চলে যায়,সংসারের ভিতরে রান্নাবান্না নিয়ে একটু কথার কাটাকাটি হলে সে আমাকে উল্টা পাল্টা কথাবার্তা বলেন,আমি রাগ করে আমার স্ত্রী সাবিনাকে বলেছি,শিশু আয়াতের মত টুকরো টুকরো করে কল্লাটা হালাই দিমু বলে জানিয়েছি।
তিনি বলেন,এপযন্ত আমার স্ত্রীকে নিয়ে কয়েকবার বিচার শালিসি করেছি,বিচার করার পরে ও আমার স্ত্রী বাসা থেকে বের হয়ে জান,আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আমি বন্দর থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করেছি,বলে জানান রিয়াদুল ইসলাম।