1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
  2. mdalamin0972@gmail.com : alamin :
শিরোনামঃ
বালিয়াডাঙ্গীতে “স্পীড ফাস্ট কুরিয়ার লিঃ “এর শুভ উদ্বোধন পাথরঘাটায় খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রশাসনের অভিযানে ১১৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, প্রায় ৫৮ কোটি টাকার সম্পদ উদ্ধার সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই দফায়  অবরোধ জাফরুল ইসলাম রুবেলকে জিয়া সাইবার ফোর্স জয়পুরহাট জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-০১ চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার  পলাতক আসামী নুরুল হাসান লাবু’কে  গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭,।  রায়কালীতে বিএনপির আলোচনা সভা: রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা গৌরনদীতে ন্যায় বিচারের দাবিতে সাবেক সেনা সদস্যর সংবাদ সম্মেলন রংপুরে দুই উপজেলায় পরীক্ষার সেন্টারে নকলের ভিডিও করায় ৬ সাংবাদিকের উপর হামলা

বরিশাল বানারীপাড়া উপজেলায় সন্ধা নদীর তীরে অবৈধ ইটভাটা সরকারি চর কেটে ভাটা মালিকরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।

  • আপডেট সময়ঃ বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৩ জন দেখেছেন

শিকদার আল আমিন বরিশাল ব্যুরোঃ   বরিশাল বানারীপাড়া উপজেলায় সন্ধ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে ইটভাটা, সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্বাঙ্গুলী দেখিয়ে এবং সরকারি আইনকে উপেক্ষা করে চালাচ্ছে অবৈধ ইটভাটা গুলো, এলাকা বাসীর অভিযোগ ক্ষমতার অপব্যবহার করে সভাপতি জলিল চেয়ারম্যান সেক্রেটারি কালাম মিয়া, তাদের ক্ষমতার দাপটে অবৈধভাবে চালাচ্ছে ইটভাটা, রাতের অন্ধকারে সন্ধ্যা নদীর আশে পাশের চরের  মাটিগুলো সুরঙ্গ করে কাটা হচ্ছে, এ যেনো দেখার কেউ নেই ভাটার মালিকগুলো দিন দিন হয় উঠছে  আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ, রাতের আঁধারে সরকারি চর কেটে কোটি কোটি টাকার অবৈধভাবে মালিক হয়ে উঠছে, কেউ আবার আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাউকে তোয়াক্কা না করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে, এ বিষয়ে বাটার মালিক ও  সেক্রেটারি কালাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সব দপ্তরে মাসোয়ারা দিতে হয় এমন কি বানারীপাড়া সাংবাদিক প্রেসক্লাবেও মাসোয়ারা দিতে হয় বানারীপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাহাত সুমন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা, বানারীপাড়ার ইটভাটা নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করলেও কোন ব্যবস্থা  নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদফতর অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কোনো আইনগত ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি, বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলে হচ্ছে কানাকানি, তারা বলেন সব ইটভাটা মালিকরা মিলে হয় তোবা মাসোয়ারা দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর অফিস ম্যানেজ করেছে তারা,  আপনারা সংবাদ কর্মীরা লেখালেখি করলেও মনে হয়না অফিস কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নিবে,

প্রত্যেকটি ইটভাটা ঘুরে দেখা যাচ্ছে, পরিবেশ অধিদফতরে’র ছাড়পত্র ছাড়াই ঘনবসতি পূর্ণ আবাসিক এলাকা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশে পাশে ও ফসলি জমিতে স্থাপন করা হয়েছে, শুধু তাই নয় ইট ভাটায় প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে সাড়ি সাড়ি কাঠ, এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ, আইন অমান্য করে বানারীপাড়া উপজেলায় দিনের পর দিন ইটভাটার সংখ্যা বাড়লেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল, অথচ বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ সংশোধিত ২০১০ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ এর ৭ দ্বারা অনুয়ারি কার্ড দিয়ে ইট পোড়ানো যাবেনা ঘোষণা করা হয়েছে, এবং এই আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রথমবার সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয়বার একই  অপরাধ করলে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও সাজার বিধান রাখা হয়েছে, এই অপরাধের পুনরাবৃত্তিতে ভাটা  নিবন্ধন বাতিল ও ভাটা  বাজেয়াপ্ত করার বিধান রাখা হয়েছে, কাগজে কলমে এসব আইন বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে প্রয়োগ নেই, এদিকে ইট প্রস্তত ও বাটা স্থাপনা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ তে বলা হয়েছে, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবাসিক এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা হাট বাজার এলাকা সিটি কর্পোরেশ উপজেলা, পৌরসভা এবং বন অভয়ারণ্য বাগান জলাভূমি কৃষি জমিতে ইট বাটা স্থাপন করা যাবে না, এই আইনের তোয়াক্কা না করেই বানরিপাড়া সন্ধা নদীর আশে পাশে অধিকাংশ ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ফসলি জমিতে, ইট বাটার ধোয়ার পরিবেশ দূষণ ছাড়াও স্থানীয়রা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, বানারীপাড়া চরের ছদ্মনাম স্থানীয় কিছু কৃষক বলেন, বাটার বিষাক্ত ধোয়ার কারনে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, ক্ষেতের পাসে ইট বাটা গড়ে ওঠায় আগের তুলনায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে, সরকার ফসলি জমির ওপর ইট বাটা স্থাপন রোধে দূরত্ব ব্যবস্থা না নিলে দিন দিন জমির উৎপাদন কমে যাবে, ইট বাটার জ্বালানি হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কার্ড দিয়ে পোড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে, বাটা মালিকরা বলেন চাহিদার তুলনায় কয়লার সরবরাহ কম এবং দাম বেশি, কয়লা দিয়ে পোড়ালে তাদের লাভাংশ কমে যায়, ফলে তারা লাভ বাড়াতেই কাঠ দিয়ে পোড়াতে থাকেন, সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা আমদানির মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করতে পারলে তবেই ইটভাটার কাঠ পোড়ানো বন্ধ করা যাবে বলে মনে করছেন তারা, এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক মহোদয় এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন যদি কোন ইট ভাটায় কাট পোড়ানো হয় অথবা লাইসেন্স ছাড়া ইট বাটা চালানো হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহায়তায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক উপসচিব জনাব আঃ আবদুল হালিম জানান, কেউ যদি সরকারি আইন অমান্য করে এবং অবৈধভাবে যদি কেউ ইটভাটা চালায় তাহলে আমরা খুব শীগ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......