বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৮ অপরাহ্ন
গত ১৭ ই জানুয়ারী ২০২৫ তারিখে দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান, বিডি নিউজ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় বটিয়াঘাটা সুন্দরমহল দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ।
দেড় লাখ টাকা দিয়ে চাকরি দিয়েছিলাম : পেনশনের কাগজপত্র নিতে হলে আরো ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে সুপারকে ! এসব অভিযোগ তুলে ধরেন বটিয়াঘাটা উপজেলার জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া সুন্দরমহল দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরি সরোয়ার হোসেন। চাকরির শেষ প্রান্তে এসেও স্বস্তি নেই আমার। দৈনিক নিউজ এর মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী সরোয়ার ও তার স্ত্রী। পেনশনের কথা বলে মোটা অংকের টাকা দাবি। টাকা দিতে না পারায় পেনশনের কাগজপত্র নিয়ে তালবাহানা। অবশেষে ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী। এসব নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী সরোয়ার হোসেন । তিনি সুন্দরমহল দাখিল মাদ্রাসায় দপ্তরি পদে চাকরি করতেন। সরকারি নিয়োগে গত ২ আগস্ট ১৯৯১ ইং তারিখ চাকরিতে যোগদান করেন। দীর্ঘ ৩৩ বছর মাদ্রাসায় দপ্তরি পদে কর্মরত ছিলেন। সরোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, চাকরির সময় মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সাত্তার আমার নিকট থেকে এক লাখ ৬৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে দপ্তরী সরোয়ারের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। এবং তিনি পেনশনে যান। কিন্তু দুঃখের বিষয়, চাকরির মেয়াদ শেষ হলে পেনশন এর কাগজপত্র নিয়ে তালবাহানা শুরু করেন মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সাত্তার। ভুক্তভোগীর অভিযোগ,পেনশনের কাগজপত্র ও পেনশন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার নিকট সুপার ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সুপার বলেন, টাকা না দিলে পেনশনের কাগজপত্র দেওয়া হবে না।
এমন মিথ্যা ও অসত্য তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে এসব ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যাহা সম্পুর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। সরোয়ার নিয়মতান্ত্রিক ভাবে যতদিন মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন সেসব কাগজ পত্র দিতে আমার কোন সমস্যা নাই কিন্তু অযৌক্তিক কিছু দাবী করলে,সে দাবী পুরণ করা সম্ভব নয়। তিনি যে অভিযোগ গুলো করেছেন তা সম্পুর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমি এই সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিনীত,
মাওলানা মোঃ আব্দুস সাত্তার
সুপারিন্টেন্ডেন্ট
সুন্দরমহল দাখিল মাদ্রাসা বটিয়াঘাটা খুলনা।
মোবাইল নং -০১০৯১১৬৮৫৯