নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

ভুক্তভোগী ভিকটিম (২৯) পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী এবং সে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে আসছিল। গত জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ সালে গার্মেন্টসে চাকুরির সুবাদে মোহাম্মদ শফিউল আলম এর সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক চলাকালে গত ২১ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে মোহাম্মদ শফিউল আলম ভিকটিমকে বিবাহ করার আশ্বাস দিয়ে চান্দগাঁও থানাধীন পুরাতন চান্দগাঁও এলাকার একটি ভবনে বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একত্রে বসবাস করতে শুরু করে। পরবর্তীতে গত ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখ হতে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পূর্বের ন্যায় বসবাস করতে থাকে। বসবাসকালে ভিকটিমকে বিবাহের আশ্বাস দিয়ে তাকে  দীর্ঘদিন ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম তাকে বিবাহের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে মোহাম্মদ শফিউল আলম ভিকটিমকে বিবাহ করতে অস্বীকৃতি জানায়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৫/২৯৪, তারিখ- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১)।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মোহাম্মদ শফিউল আলম (২৯) চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শমসের পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক গত ২০ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ২০২০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোহাম্মদ শফিউল আলম (২৯), পিতা- মাহাবুব আলম, সাং- শমসের পাড়া, থানা- চান্দগাঁও, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামি হওয়ার কথা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।