1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
ওমর কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিক ও শেরপুর জেলা আঃ লীগের সা:সম্পাদক এড: চন্দন কুমার আটক। বরগুনায় জমকালো আয়োজনে কালবেলার ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত গোপালগঞ্জে কালবেলা’র তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত সাবেক কৃষি মন্ত্রী না ফেরার দেশে চলে গেলেন অগ্নি কন্যা মতিয়া চৌধুরী! র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে ফেনী সদর হাসপাতাল এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া মিশুক গাড়ি উদ্ধার সহ ছিনতাইকারী গ্রেফতার-০৩  বটিয়াঘাটায় বিএনপির লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় অনুষ্ঠিত শ্রীপুরে বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে ডাঃ শফিকুল ইসলামের মতবিনিময় সভা ঝিনাইগাতীতে ডা: সেরাজুল হক স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সবজি ও নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন  সাধারণ মানুষের হাহাকার 

সাবেক কৃষি মন্ত্রী না ফেরার দেশে চলে গেলেন অগ্নি কন্যা মতিয়া চৌধুরী!

  • আপডেট সময়ঃ বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২২ জন দেখেছেন

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

বাংলার অগ্নি কন্যা নামে খ্যাত, সাবেক সংসদ উপনেতা, শেরপুর-২ (নকলা- নালিতাবাড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী আর নেই। ১৬ অক্টোবর রোজ বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…… রাজিউন)। এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ এবং সাবেক মন্ত্রী ও মতিয়া চৌধুরীর মামা মোস্তফা জামাল হায়দার তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।পারিবারিক সূএে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মতিয়া চৌধুরীকে সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতাল থেকে বাসায় আনাহয়েছিল।এর পরে বুধবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের তাকে ঢাকার এভারকেরহাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে বেগম মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুর খবর শেরপুরসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে দলীয় অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে
শোকের ছায়া নেমে আসে।
। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার বর্ণাঢ্য জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে।জানা যায়, অগ্নিকন্যা খ্যাত বেগম মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক শেরপুরের নকলা উপজেলার গণপদ্দী এলাকার সন্তান বজলুর রহমানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী। তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মতিয়া চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের সেবায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। এরপর ১৯৭৯ সালে ন্যাপ ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৮৬ সালে দলের কৃষিবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান মতিয়া চৌধুরী। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন।

বেগম মতিয়া চৌধুরী তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০১ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক হুইপ মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।এছাড়া তিনি এই আসন থেকে সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১২তম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবং সংসদের সরকার দলীয় উপনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে মতিয়া চৌধুরীকে।
২০২৪ আগস্টের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী ও নেতাদের নামে অনেক মামলা হলেও ক্লিন ইমেজ রাজনীতিক বেগম মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। অসীম সাহসিকতার কারণে না পালিয়ে রাজধানীর বাসাতেই জীবনের শেষ সময়গুলো কাটিয়েছেন।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......