1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
খুলনার বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তাকে নিয়ে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত খুলনায় অতিবর্ষনে মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকা, মৎস্য কর্মকর্তা -জয়দেব পাল। শেরপুর ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের ৫৪ তম জন্মদিন পালিত শহীদ জিয়াউর রহমান ও সকল শহীদদের স্মরণে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে কোটালীপাড়ায় অবৈধ বাঁধ কেটে ১কিলোমিটার খাল দখল মুক্ত করলেন উপজেলা প্রশাসন বৈষম্যের শিকার এমপিও ভুক্ত কলেজের ল্যাব সহকারীরা শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের বিকল্প নেই র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১১ এর যৌথ আভিযানে ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণ করে ছাত্র হত্যা মামলার সশস্ত্র পলাতক আসামি জোবায়ের হোসেন প্রকাশ হৃদয় গ্রেপ্তার। র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে ইপিজেড থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের কণ্যা শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতাক আসামি শফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার।  অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর নামে ভুয়া ভিসা দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মুকসুদপুরের সক্রিয় এক প্রতারক চক্র, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ভুক্তভোগীদের

খুলনায় অতিবর্ষনে মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকা, মৎস্য কর্মকর্তা -জয়দেব পাল।

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৭ জন দেখেছেন

মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা (ব্যুরো)।

টানা ৩/৪ দিনের বৃষ্টিতে ভেসে গেছে খুলনার ৯ উপজেলার হাজার হাজার বিঘা মাছের ঘের ও পুকুর। এতে সাদা মাছ, চিংড়ি মাছ ও পোনাসহ মৎস্য খাতে ৯৯ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে খুলনা মৎস্য দপ্তর জানিয়েছে। তবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন ডুমুরিয়া উপজেলার মৎস্য চাষিরা। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে চাষিদের। খুলনা জেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের সহযোগিতায় সরকারি ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা।
খুলনা জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিনের অতি বর্ষণে খুলনার ৯ উপজেলার মধ্যে ৭ উপজেলার হাজার হাজার বিঘার মাছের ঘের ও পুকুর পানিতে ভেসে গেছে। এই বৃষ্টির কারণে উপজেলা গুলোর ৫০টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৪৯টি পুকুর ও খামার, ৮ হাজার ৪৬৭টি ঘের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ফিন ফিস (সাদা মাছ) ৫ হাজার ৮৪৫ টন, চিড়িং ৭ হাজার ৩৭৩ টন মাছ এবং
২০৫ লাখ পোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে খুলনার মৎস্য খাতের ক্ষতির পরিমাণ ৯৯ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে বটিয়াঘাটা ও রূপসা উপজেলায় ক্ষতির তেমন কোনো তথ্য নেই জেলা মৎস্য অধিদপ্তরে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা গুলোর মধ্যে পাইকগাছা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৯৫০টি খামার ও পুকুর এবং ১ হাজার ৮৫০টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ভেসে গেছে ৮০ টন ফিন ফিস (সাদা মাছ) ও ১০৫ টন চিংড়ি মাছ। এ উপজেলায় মৎস্য খাতে আর্থিত ক্ষতি ১১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
কয়রা উপজেলা ৭ ইউনিয়নে ৩৬৪টি পুকুর ও খামার এবং ৯৫৭টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ৩৫ টন ফিন ফিস (সাদা মাছ), ৫২ টন চিংড়ি মাছ। এ উপজেলায় মৎস্য খাতে আর্থিত ক্ষতি ৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
দাকোপ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১২০টি পুকুর ও খামার এবং ৮০০ টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ২ হাজার টন ফিন ফিস (সাদা মাছ) এবং ২ হামার ৫০০ টন চিংড়ি মাছ। এ উপজেলায় মৎস্য খাতে আর্থিত ক্ষতি ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ১০০টি খামার ও পুকুর এবং ৩ হাজার ৭৫০টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ৩ হাজার ৫৬০ টন ফিন ফিস (সাদা মাছ) ও ৪ হাজার ৬৭০ টন চিংড়ি মাছ। এতে মৎস্য খাতে ৬২ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ফুলতলা উপজেলায় ৫৫০টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ৩৫ লাখ টাকার চিংড়ি মাছ।
দিঘলিয়া উপজেলার ৪ ইউনিয়নে ৫৫০টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ১৬০ টন ফিন ফিস (সাদা মাছ) ও ৪৫ টন চিংড়ি মাছ। এতে মৎস্য খাতে ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তেরখাদা উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ২৫টি খামার ও পুকুর, ৪০টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ১০ টন ফিন ফিস (সাদা মাছ), দেড় টন চিংড়ি মাছ। এতে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
মৎস্য চাষিরা বলছেন, টানা বর্ষার কারণে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হলে, তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেন। নগরীর ফুলতলা থানার বরনপাড়া গ্রামের ডাকাতিয়া বিলের মাছ চাষি রেজাউল সরদার বলেন, ঘেরের অনেক সাদা মাছ, গলদা চিংড়ি, সব পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। অনেক টাকা খরচ করেছি। এখন এই যে ক্ষতি, কীভাবে পোষাব জানি না। গত বছরও আমার অনেক মাছ চলে গেছে। এই বছরও একই অবস্থা। প্রত্যেকটা ঘেরের এমনই অবস্থা। সব ঘের তলিয়ে গেছে। বাকি যেটুকু আছে, ডাঙার পানি বিলে ঢুকলে সেটুকুও আর থাকবে না। বিলের পানি সরানোর কোনো জায়গা নেই। যে জায়গা আছে সেটা কচুরিপানা দিয়ে আটকানো। পানি সরানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা এখন খুব অসহায় অবস্থার মধ্যে আছি।

সার্বিক বিষয় খুলনা জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল বলেন, জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে ৭ উপজেলার ৫০ টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৪৯টি পুকুর ও খামার, ৮ হাজার ৪৬৭টি ঘের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে মৎস্য খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাষিরা একদম পথে বসে গেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে তারা কতটুকু ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন সেই আশঙ্কা করছেন এই কর্মকর্তা। প্রতিটি উপজেলার তথ্য ঢাকা মৎস্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের সরকারিভাবে সহযোগিতার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......