1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
বটিয়াঘাটা সরস্বতী মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে সিরাতুন্নবী ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে স্কুল মাঠে গরু ছাগলের হাট ডিবির অভিযানে তালতলীতে ১৮০ ইয়াবা সহ আটক ১ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ রথিন বিশ্বাসের পরিবারের পাশে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কোটালীপাড়ায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় র‍্যাব-৭ ও র‍্যাব-১১ এর যৌথ আভিযানে ০৪ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনরতদের উপর গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি সুলাইমান বাদশা আটক। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে অপহৃত সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীকে জীবিত উদ্ধার এবং অপহরণের মূলহোতা ও অটোরিক্সা জব্দ সহ অপহরণকারী গ্রেফতার-০৭ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে ধর্ষণের চেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি মামলার মূলহোতা সহ গ্রেফতার-০৩ বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মহোদয় বরগুনা জেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগদান। চট্টগ্রাম সি ই পি জেড এ কর্মরত তহমিনা নামের এক গার্মেন্টস কর্মী নিখোঁজ

বামনায় দশ মাসের অত্মসত্ত্বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী পুলিশের দায়েরকৃত নাশকতা মামলার আসামি 

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩৪ জন দেখেছেন

বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধিঃবরগুনার বামনায় সালিশ না মানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বামনা থানা অফিসার ইনচার্জ তুষার কুমার মন্ডল, এসআই দেবাশীষ হাওলাদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, বামনায় নাশকতা করার জন্য গোপন বৈঠকে সমবেত হওয়ার অভিযোগে ১৩ জনসহ আরো ২০-২৫ জন কে অজ্ঞাত আসামী করে তাঁদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছে বামনা থানা পুলিশ। তার মধ্যে ১০ মাসের অত্মসত্ত্বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারী এবং তার কৃষক স্বামীও মামলার আসামী রয়েছেন।

মামলার এজাহারে দেখা যায়, আসামীর তালিকায় ০৮ নাম্বারে রয়েছে বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের কৃষক মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩১) ও ১১ নাম্বারে রয়েছে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নয় মাসের অত্মসত্বা স্ত্রী সোনিয়া আফরোজ (২৫) এর নাম।

মামলা হওয়ার পর থেকে সাদ্দাম হোসেন ও তার স্ত্রী সোনিয়া আফরোজ পলাতক রযেছে। মুঠোফোনে কথা হয় আসামি সাদ্দাম হোসেনের সাথে। মুঠেফোনে সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় ফরিদা বেগম(৪০) এবং দুলিয়া বেগম (৪২) নামে দুই মহিলার সাথে তাদের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে দীর্ঘদিনের। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন হাওলাদার ফরিদা এবং দুলিয়ার পক্ষ হয়ে একবার সালিশি করলে আমরা সেই সালিশের রায় মানি নি। এরপরে আমরা আবার যখন সালিশি হয় তখন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশে বসি।

সেই শালিসে আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন হাওলাদারকে রাখা হয়নি। সেই সালিশের রায় দুলিয়া এবং ফরিদা মেনে নেয়নি। সাদ্দাম হোসেন আরো জানান যে দুলিয়া বেগম বরগুনার প্রাক্তন এক পুলিশ সুপারের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। সে পুলিশ সুপারের মাকে ধর্মের মা ডেকেছেন। পুলিশ সুপারের বাসায় কাজ করার সুবাদে বামনা থানা অফিসার ইনচার্জ তুষার কুমার মন্ডল এবং এসআই দেবাশীষ হাওলাদার সরাসরি ফরিদা এবং দুলিয়ার পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন।

আমি এবং আমার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ১০ মাসের আত্মসত্ত্বা স্ত্রীকে মামলায় ফাঁসাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেন হাওলাদার। কারন আমরা তার সালিশের রায় না মেনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ করলে সেই শালিসে তাকে রাখিনি। সেই ক্ষোভেই তিনি আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় আসামি করতে সহযোগিতা করেছেন। এই মিথ্যে মামলার কারণে আমি এখন আমার ১০ মাসের অত্মসত্ত্বা স্ত্রী কে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

 

এলাকাবাসী জানান, অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন একজন কৃষক। তার স্ত্রী একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী। এবং তিনি বর্তমানে ১০ মাসের অত্মসত্বা। তারা কখনোই কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলোনা। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদেরকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এই বিষয়ে বামনা থানার ওসি তুষার কুমার মণ্ডল বলেন, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশে জামায়াতের কিছু নেতাকর্মী একত্রিত হচ্ছিল। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিত নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সাইমুন ও জাফর নামের দুজন কে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বাকী আসামীরা পালিয়ে যায়। আসামী সোনিয়া আফরোজ এবং তার স্বামী সাদ্দাম হোসেন ও সেখানকার সভায় উপস্থিত ছিলেন। জব্দকৃত হাজিরা খাতায় তাদের স্বাক্ষর রয়েছে। তাই তাদের কে মামলার আসামী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজ প্রতিদিনের বাংলাদেশ কে বলেন, আমি শোনার সাথে সাথেই থানায় গিয়ে ওসির সাথে কথা বলে এর প্রতিবাদ করেছি। আমি তাকে বলেছি এই মেয়েটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এবং ১০ মাসের অত্মসত্বা। আগস্টের ০৮ তারিখে মেয়েটির বাচ্চা ডেলিভারি হওয়ার কথা রয়েছে। সুতরাং এই মেয়েটিকে যেন কোনভাবেই মামলায় আসামী করা না হয়। ওসি সাহেব আমার কথা শুনেননি। তিনি মেয়েটি এবং তার স্বামীকে মামলায় আসামি করেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন তার কাছে প্রমান আছে। প্রমান ছাড়া কাউকে আসামী করা হয়নি।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......