মোঃ ইমানুর রহমান,জেলা প্রতিনিধি, খুলনা,

খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা বাজারের ফাতেমা শপিং কমপ্লেক্সে-এর সনামধন্য মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী আশিক ডিজিটাল ষ্টুডিও এন্ড ফটোস্ট্যাট-এর স্বত্ত্বাধিকারী জনাব শেখ জামাল হোসেন (৪২) এর দোকান থেকে প্রতারক চক্রের একজন সদস্য ইউসুফ মোল্যা (২৮), পিতা- মকবুল, সাং- একতারপুর (গ্রামতলা), অভয়নগর,যশোর গত ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল আনুমানিক ৫.৩০টার সময় অভিনব কায়দায় মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) এর মাধ্যমে টাকা উত্তলোন করতে আসে। এসে রকেটের মাধ্যমে ৫,০০০/- টাকা উত্তলোন করবে বলে জানান এবং নম্বর দিতে বলেন দোকানদার জনাব জামাল হোসেন তার রকেট নম্বর দিলে প্রতারক চক্রের ঐ সদস্য বলে তিনি ২৩,৫০০/- টাকা উত্তোলন করবে।

পরক্ষণেই প্রতারক চক্রের ঐ সদস্য ইউসুফ মোল্যা (২৮) ব্যবসায়ীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে ২৩,৫০০/- টাকার একটি মেসেজ দেয় যা হুবহু রকেট থেকে দেওয়া মেসেজের মত। অতঃপর দোকানদার তার মোবাইলে ব্যালেন্স চেক করে দেখতে গিয়ে দেখে মিথ্যা ও প্রতারকের উক্ত হ্যাকিং পদ্ধতিতে পাঠানো এসএমএস এর কারনে তার মোবাইলের হিসাবে টাকাতো জমা হয়নি বরং রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর সিকিউরিটি অথরিটি তার মোবাইলের হিসাবটি লক করে দিয়েছে। এতে করে ব্যবসায়ী শেখ জামাল হোসেন-এর বুঝতে আর বাকি থাকে না উক্ত ব্যক্তি প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য।

সাথে সাথে বাজারের আশেপাশে থাকা লোকজনকে ডাক দিয়ে উক্ত প্রতারককে ধরতে চিৎকার দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতারক চক্রের ঐ সদস্য ইউসুফ মোল্যা (২৮)-কে বাজারে থাকা লোকজন ধরে ফেলে। বিক্ষুদ্ধ জনতা তাকে মারতে উদ্ধত হলে মানবিক ব্যবসায়ী জনাব শেখ জামাল হোসেন সকলকে বাধা দেয় যাতে মারধর না করে এবং তার বাড়ীঘর ও ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ঐ প্রতারক চক্রের সদস্য বলে সে স্থানীয় দক্ষিণডিহি গ্রামের আজিজুল মোল্যা (৪৩) এর বাড়ী ভাড়া থাকে।

পরে মুঠোফোনে উক্ত ধূর্ত আসামী আজিজুল মোল্যা (৪৩)-কে আসতে বললে সে জানায় উক্ত প্রতারক চক্রের সদস্য তার বাড়ী ভাড়া থাকে এবং তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে। পরবর্তিতে রাত্র আনুমানিক ১০.০০টায় উক্ত প্রতারক চক্রের সদস্য ও আজিজুল মোল্যা দোকানে এসে ব্যবসায়ী শেখ জামালকে বিশেষভাবে অনুরোধ করে প্রতারক চক্রের ঐ সদস্যকে ছেড়ে দিতে এবং সে (আজিজুল মোল্যা) প্রতারকের মোবাইলটি জমা রেখে যান ও যে উক্ত দোকানের মোবাইল হিসাবটি আনলক করতে সার্বিক সহযোগিতা এবং তার ব্যবসায়িক যাবতীয় ক্ষতিপূরণ দিবেন।

অতঃপর দোকানদার শেখ জামাল হোসেন প্রতারককে কোন প্রকার প্রহর ছাড়াই প্রতারককে ছেড়ে দেয়।

উল্লেখ্য উক্ত প্রতারকের মোবাইলে টাকা প্রতারণার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম জুয়া খেলার দেশী-বিদেশী (Mobile casino) একাধিক এক্টিভ এ্যাকাউন্ট লগইন আছে এবং টাকা উত্তলোনের প্রমাণও মিলেছে।