বরগুনা প্রতিনিধি:
বদরখালীর বাওয়ালকার-উত্তর কুমরাখালী-সোহরাব হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা আজও অবহেলিত; বর্ষায় চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও রোগীরা।
বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের বাওয়ালকার (ইউ.জেড.আর) থেকে উত্তর কুমরাখালী হয়ে সাংবাদিক সোহরাব হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারের অভাবে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাস্তাটি বরগুনা প্রজেক্ট নামে একটি সরকারি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বাস্তবে এখনো পর্যন্ত কোনো উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়নি। রাস্তাটির আইডি নম্বর ৫০৪২৮৫৩০৮। এই রাস্তাটি বরগুনা সদর, ফুলঝুড়ি ও চালিতাতলা এলাকার সঙ্গে যাতায়াতের একমাত্র প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তায় কাদা ও পানি জমে চলাচল সম্পূর্ণ দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, মাদ্রাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ রোগীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন। স্থানীয় কৃষকরাও উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “প্রতিদিন স্কুলে যেতে কোমরসমান কাদা পেরিয়ে যেতে হয়। বৃষ্টি হলে তো রাস্তা চিনে চলাও সম্ভব হয় না। একজন বৃদ্ধ কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ভোট দিই, অথচ এই রাস্তা যেন আমাদের পাপের ফল। কেউ দেখেও দেখে না।
ভুক্তভোগীদের দাবি, দ্রুত এই রাস্তাটিকে পাকা করে চলাচল উপযোগী করা হোক, যাতে করে এলাকার মানুষ স্বস্তিতে জীবনযাপন করতে পারে। তারা স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত এই জনপথের মানুষগুলোর একটাই দাবি—দ্রুত পাকা রাস্তা। সরকারের সুদৃষ্টি ও দ্রুত বাস্তবায়নই পারে বদরখালীর মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে।