1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
  2. mdalamin0972@gmail.com : alamin :
শিরোনামঃ
আমতলী থানায় রেঞ্জ ডিআইজির দ্বি-বার্ষিক পরিদর্শন সম্পন্ন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে বিয়ে-যৌতুক আদায়, যুবক আটক তালতলীতে জমি নিয়ে বিরোধ, হামলায় আহত -৩ যৌতুকের দাবীতে গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার ২৩ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদন্ড রায় উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ-এর চাল বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি গ্রহণ বাঁশখালীতে ৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ও একটি মোটর সাইকেল জব্দসহ আটক ১  সীতাকুণ্ডের জনদূভোর্গের বহুল প্রতীক্ষিত সড়কের ঢালাই কাজ শুরু। বরগুনায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত: কৃষি, পুষ্টি ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে নতুন দিগন্ত গঙ্গাচড়ায় আবাদি জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে পুকুর খনন ও কাঁচা ঘরে নির্মাণের অভিযোগ শিবগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে অবহেলিত সরু রাস্তার সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজ শুরু: জনমনে স্বস্তি

খুলনা ভৈরব তীরে ৩৫৬ কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে স্টিল সাইলো

  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
  • ১০৫ জন দেখেছেন

মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা ব্যুরোচীফ।

খুলনা ভৈরব নদীর তীরে গম সংরক্ষণের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার স্টিল সাইলো। মহানগরীর দৌলতপুর থানা অর্ন্তরগত মহেশ্বরপাশা সিএসডি’র অভ্যন্তরে ৭ দশমিক ৪৪ একর জায়গার উপর এটি নির্মানাধীন সাইলো নির্মান হচ্ছে। যাহার অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। খাদ্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন খাদ্য সংরক্ষণ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সাইলোটি  নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের ১১ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৩৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাজেদুর রহমান বলেন,সর্বাধুনিক গমের এ স্টিল সাইলোটিতে লুজ গম সংরক্ষণের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে। সাইলোটিতে থাকবে ৬ টি ঢোলাকৃতি বিন।

প্রতিটি বিনের ধারণ ক্ষমতা থাকবে ১২ হাজার ৭’শ মেট্রিক টন। সে হিসেবে আধুনিক এ খাদ্য সংরক্ষণাগারটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ৭৬ হাজার ২’শ মেট্রিক টন লুজ গম সংরক্ষণ করা যাবে। কেমিক্যাল ছাড়া এখানে রাখা গমের তিন বছর পর্যন্ত গুণগতমান ভালও থাকবে। শুধুমাত্র শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সিস্টেমটাকে কন্ট্রোল করে গমের তাপমাত্রা সঠিক রাখা হবে।

নদী,সড়ক ও রেলপথে গম আসলে গমগুলো কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে অটোমেশনে সংরক্ষণাগারে এসে প্রতিটি বিনে মজুদ হবে। এরপর লুজ গম অটো প্যাকেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে সংরক্ষণাগার থেকে বিভিন্ন জেলায় বিতরণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন,এটি একটি পাইলোটিং প্রজেক্ট। দেশের আটটি অঞ্চলে এ জাতীয় ৮ টি আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার বা স্টিলের সাইলো নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৬ টি চালের স্টিল সাইলো বাকী ২ টা গমের স্টিল সাইলো। ৩ টি স্টিল সাইলোর নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পথে। ৪ টির কাজ চলমান রয়েছে। আর ১ টি নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পাইলোটিং প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন হলে দেশের প্রতিটা জেলায় এ জাতীয় একটি আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের বলে মন্তব্য করেন এই প্রকৌশলী।“জেরিকো ফ্রান্স” নামে ফ্রান্সের একটি বেসরকারি কোম্পানি অত্যাধুনিক এ স্টিল সাইলোটির ডিজাইনার ও মূলত তারাই কনসালটেন্ট হিসেবে কাজটির তদারকি করছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পের উদ্দেশ্য সরকারি পর্যায়ে কৌশলগত খাদ্য মজুদ ক্ষমতা বৃদ্ধি,খাদ্যশস্য ও বীজ সংরক্ষণের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষা দেওয়া। দুর্যোগ পরবর্তী প্রয়োজন মেটাতে পারিবারিক পর্যায়ে পারিবারিক সাইলো বিতরণ,দেশে খাদ্য মজুদ পদ্ধতির উন্নয়ন,খাদ্য সংরক্ষণের ব্যয় কমানো এবং উন্নত খাদ্য মজুদ ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং চালু করা

উল্লেখ্য,তিনশত ৫৫ কোটি ৯১ লাখ সাত হাজার তিনশত ৮৯ টাকা ব্যয়ে আধুনিক স্টীল সাইলোর নির্মাণ কাজ ডিসেম্বর-২০২৪ এ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। হাতের স্পর্শ ছাড়াই প্রযুক্তি মেশিনদ্বারা সম্পূর্ণ এই স্টীল গমের সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ৭৬ হাজার দুইশত মেট্রিক টন। বাংলাদেশ সরকার ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের যৌথ সহযোগিতায় আধুনিক গমের সংরক্ষণাগার নির্মিত হচ্ছে।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......