1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
  2. mdalamin0972@gmail.com : alamin :
শিরোনামঃ
বিবাহের প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে  আনোয়ার এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা। আদর্শ শিক্ষক ফোরাম’র বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটায় শহীদ রাষ্ট্রপতি  জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। শিবগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত: আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত র‌্যাব-৬ অভিযানে সাতক্ষীরা থেকে ২১৭ বোতল ফেন্সিডিল সহ ২ জন গ্রেফতার হেডলাইন: শিবগঞ্জের কিচক ইউনিয়নে ভিজিডি চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু: অসহায় দুস্থ নারীরা উপকৃত খুলনা লবণচরা থানার শিপউয়ার্ড আ’লীগ নেতার পদত্যাগ স্বামী ওবাইদুল্লাহ সানা’র বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের স্ত্রীর মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা।  চাঞ্চল্যকর আবদার হত্যা মামলার প্রধান আসামি মনিরকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ বটিয়াঘাটায় সরকারি খাল দখল করে ঘর নির্মান

স্বামী ওবাইদুল্লাহ সানা’র বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের স্ত্রীর মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা। 

  • আপডেট সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫
  • ১৩৭ জন দেখেছেন

মো:ওমর ফারুক,চট্রগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্রগ্রাম জেলার বন্দর থানাধীন, সাদমান কলোনী, ৪ নং রুম, খাজা খিজির রোড, বাকের আলী ফকিরের টেক, টেকের মোড়, ৩৮ নং ওয়ার্ড, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি: সন্ধ্যা অনুমান ৭.০০ ঘটিকায় মান্নান কলোনী, বাকের আলী ফকিরেরটেকে এ ঘটনা ঘটে।

 

মামলার বাদিনী সাবনুর বেগম জানায় আমি একজন সহজ সরল আইনমান্যকারী পর্দানশীলা চট্টগ্রাম ইপিজেডস্থ গার্মেন্টস শ্রমিক হই। পক্ষান্তরে আসামী একজন যৌতুকলোভী, নারী নির্যাতনকারী, নারীলোভী, কুচক্রি প্রকৃতির লোক হয়।

আমার সহিত খুলনা জেলার, কয়রা থানাধীন,আংটিহারা গ্রামের মাতা, মাছুদা খাতুন, পিতা, গোলাম মোস্তফার ছেলে ওবাইদুল্লাহ (সানা) (২৯)’র সাথে বিগত ৬/০৫/২০১৬ খ্রি:/ তারিখে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক, চট্টগ্রামের হলফনামা মূলে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহরানা ধার্য্যে বিবাহ হয় বটে। বিবাহের পর যথাশীঘ্র সম্ভব কাবিননামা সম্পাদন করিয়া দেয়ার কথা থাকিলেও আসামী বিভিন্ন তালবাহানায় কাবিননামা সম্পাদন করা হইতে বিরত থাকেন।

 

বৈবাহিক জীবনে আসামীর ঔরষে আমার গর্ভে এক কন্যাসন্তান কুলসুম আক্তার ইয়াসমিন (১৭/০৯/২০১৭ খ্রি:) জন্মগ্রহন করে। বিবাহের পর আমার স্বামী কাঠ মিস্ত্রিরির কাজ এবং আমি গার্মেন্টসএ চাকরি করিয়া সন্তান নিয়া সংসার করিতে থাকি। আসামী বিগত এক বৎসর যাবৎ নিজে ফার্নিচারের দোকান করিবে বলিয়া ২,০০,০০০/ (দুই লক্ষ) টাকা আমার পিতা মাতার নিকট থেকে যৌতুক হিসাবে আনিয়া দেয়ার জন্যে চাপ দিতে থাকে। আমার পিতা মাতা অত্যন্ত গরীব এবং অসহায় হওয়ায় তাহাদের পক্ষে কোন প্রকার যৌতুকের টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলিয়া জানাইলে প্রায়শই আমাকে কারণে অকারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিত। অত্যাচারের এক পর্যায়ে গত নভেম্বর-২৪ আমার স্বামী তার নিজের কাপড় চোপড় নিয়া পার্শ্ববর্তী মান্নান কলোনীতে রুম ভাড়া করিয়া পৃথক ভাবে বসবাস করিতে থাকে। আমার পিতামাতা এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে বুঝাইয়া আমার স্বামীকে আমার সংসারে ফেরত আনি।

 

সর্বশেষ গত ১৩/১২/২০২৪ খ্রি:/ তারিখে সন্ধ্যা অনুমান ৭.০০ ঘটিকায় আসামী/ আমার স্বামীর চাহিত ২,০০,০০০/ (দুই লক্ষ) টাকা যৌতুক আনিয়া দিবো কিনা কিংবা আমার ফ্যাক্টরি থেকে লোন তুলিয়া যৌতুক আনিয়া দিবে কিনা জানিতে চাইলে আমি অপারগতা প্রকাশ করিয়া আমার পক্ষে লোন পাওয়া কিংবা আমার দিন মজুর পিতা মাতার নিকট থেকে যৌতুকের টাকা আনিয়া দেয়া সম্ভব নয় বলিয়া জানাইলে আসামী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারপিট করিয়া ধাক্কা মারিয়া ফেলিয়া দিয়া যৌতুকের টাকা না পাইলে আমাকে তালাক দিয়া অন্যত্র বিবাহ করিয়া যৌতুক নিবে এবং আমি আসামীকে কিছুই করিতে পারিবে না বলিয়া আস্ফালন করিয়া, মামলা মোকাদ্দমা করিলে পরিনতি ভয়াবহ হইবে বলিয়া হুমকী দিয়া আমি ও আমার নাবালিকা কন্যা সন্তানকে রাখিয়া আসামী ঘর হইতে বাহির হইয়া বর্তমান ঠিকানার মান্নান কলোনীতে চলিয়া যায়। পরবর্তী মান্নান কলোনীতে আসামীকে না পাইয়া খোঁজাখুজি করিয়া জানিতে পারি যে, আসামী বর্তমানে তাহার গ্রামের বাড়ি খুলনার কয়রা চলিয়া গিয়াছে। উল্লেখ্য যে আসামী ঘর থেকে চলিয়া যাওয়ার সময় আমার বিবাহের হলফনামা সহ আমার চলতি মাসের বেতন এবং সঞ্চিত নগদে মোট ৩৯,০০০/ (উণচল্লিশ হাজার) টাকা নিয়া যায়।

আমি মামলা-মোকাদ্দমায় না গিয়া সাক্ষী এবং আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে আপোষে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করিলে আসামী যৌতুকের টাকা ছাড়া কোন প্রকার আপোষ মানে না এবং বিষয়টি শ্বশুড়-শ্বাশুড়িকে জানাইলে তাহারাও টাকা ছাড়া সংসারে ফেরত নিবে না বলিয়া জানাইয়া দেয়ায় আপোষ চেষ্টায় ব্যর্থ হইয়া স্থানীয় চট্রগ্রাম বিজ্ঞ আদালতের যৌতুক নিরোধ আইনের একটি মামলা দায়ের করিলে মাননীয় বিচারক ন্যায় বিচারের স্বার্থে অত্র মামলাটি আমলে নিয়া আসামীর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা মোতাবেক গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ইস্যু করিয়া ওসি কয়রা থানা,খুলনাকে প্রেরন করেন।

মামলার বাদীনি সাবনুর জানায় ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রি: আসামীর নামে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ইস্যু হয়েছে এখন পর্যন্ত আসামী আটক হয় নাই।

 

এ বিষয় খুলনা জেলার, কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেব’র এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান যে, জরুরী কাজে ব্যস্ততা থাকায় একটু সমস্যা হয়েছে, ঠিকানা অথবা ওয়ারেন্ট’র কপি দেন আসামী গ্রেপ্তার করিয়া জেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......