মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা ব্যুরো প্রধান।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), এলিট র্ফোস হিসেবে অত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের
গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মামলার বাদীনি রত্না বেগম ও ভিকটিম আবদার শেখ পরস্পর স্বামী-স্ত্রী এবং মামলার আসামি মনির শেখ একই গ্রামের বাসিন্দা। গত ২২ মে ২০২৫ রাতে বাদীনি জানতে পারে যে, ভবানিপুর গ্রামস্থ জনৈক মনির শেখ এর বাড়ীর পশ্চিম পাশে একজন ব্যক্তিকে হত্যা করে বস্তার মধ্যে ফেলে রেখেছে।
তখন বাদীনি সেখানে যায় এবং উক্ত লাশটি বাদীনির স্বামীর বলে সনাক্ত করে। বাদীনি স্থানীয় লোকমুখে জানতে পারেন ২২ মে ২০২৫ তরিখ রাত ০৮.৩০ ঘটিকা হতে রাত অনুমান ১০.১৫ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদীনির স্বামী ভিকটিম আবদার শেখকে আসামি মনির শেখ হত্যা করে এবং তার লাশ গুম করার জন্য বস্তার মধ্যে ভরে তার বাড়ীর পাশে কলা বাগানে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে
উক্ত ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে খুলনা রুপসা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত হত্যার বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্যকর হওয়ায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-৬ ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ মে ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ২১১০ ঘটিকার সময়
র্যাব-৬, (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, খুলনা সদর থানাধীন রেলওয়ে স্টেশন এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি (১) মনির শেখ (৪৫), পিতা-হাবিবুর রহমান ওরফে হাইবে শেখ, সাং- ভবানিপুর, থানা-রুপসা, জেলা- খুলনাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তী আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিকে খুলনার রুপসা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।