সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিহত ভিকটিম আব্দুল্লাহ প্রকাশ মানিক চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন গরিব উল্ল্যাহ পাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি দীর্ঘদিন দুবাই প্রবাসী ছিলেন। গত ০৫ আগষ্ট পরবর্তীত সময় তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং স্থানীয় বাজারে ইট, বালু, কংক্রিট এর ব্যবসা শুরু করেন। উক্ত ব্যবসা নিয়ে নাছের, আরাফাত এবং অজ্ঞাতনামা ১৩/১৪ জন ভিকটিমকে ব্যবসা না করার জন্য হুমকি প্রদান করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ২৩৩০ ঘটিকায় ভিকটিম রাউজান থানাধীন গরিব উল্ল্যাহপাড়া ভান্ডারী কলোনির একটি ভাড়া বাসায় তার সহপাঠী হানিফ এর বাসায় অবস্থান কালে মোহাম্মদ কায়সারসহ অজ্ঞাতনামা ১৩/১৪ জন সন্ত্রাসী মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনী ভাবে বাসায় প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভিকটিমকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম এবং তাদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি বর্ষণ করে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মোহাম্মদ কায়সার এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় নিহত ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় ১৭ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতানাম ৫/৭ জনকে আসামী করে একটি মামলার দায়ের করেন। যার মামলা নং-২২, তারিখঃ- ২১ এপ্রিল ২০২৫খ্রিঃ, ধারাঃ ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোহাম্মাদ কায়সার চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানাধীন আমিরাবাদ এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ মে ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ১৫৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোহাম্মদ কায়সার (৩৫), পিতা- মাঈনুদ্দিন, সাং-গরিব উল্ল্যাহ পাড়া, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।