মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা ব্যুরো চীফ।
অবশেষে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, শিক্ষকদের নিপীড়নসহ বিভিন্ন দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। শনিবার সকালে মাদ্রাসার নতুন ভবনে অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন ও দুর্নীতির অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত আসেন, জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সভাপতি ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল. এ)
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ শাহাজান আলী। শুনানিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা জানান, মাদ্রাসার অফিস রুমে অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা স্বৈরাচারের দোসর দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে
মানসিক নিপীড়নের শিকার শিক্ষকরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। সেই সাথে বেরিয়ে আসে অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের সময়ে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের কাহিনী। মাদ্রাসার আয়ার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ও মাদ্রাসায় জমি দানের কথা বলে নিজের নামে সল্পমুল্যে সাড়ে চার শতাংশ জমি লিখে নেওয়ার ঘটনা। একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসায় তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন।
শিক্ষক মাদ্রাসার প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা শেষে বেরিয়ে আসলে জমি দাতা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন মাদ্রাসার সভাপতি ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল. এ) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। এসময় ১০ দিনের মধ্যে অধ্যক্ষের নামে লিখে নেওয়া সাড়ে চার শতাংশ জমি মাদ্রাসার
নামে রেজিষ্ট্রেশন করে দিতে নির্দেশ দেন। মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অনৈতিক কাজে বাধা দিলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বর্তমান আমরা নির্ভয়ে অভিযোগ দিয়েছি। দ্রুত অপসারণ ও সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান। উপস্থিত
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ সাহেব। তিনি মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে কবিরাজি ব্যাবসা করেন। ঠিক মত মাদ্রাসায় আসেন না। অভিভাবকরা জানান, যদি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের অপসারণ ও বিচার না হয়, তাহলে আমাদের সন্তানদের এখানে পড়াশোনা করাবো না।
সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার দুর্নীতি স্বীকার করে বলেন, আমি অন্যায় করেছি।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিভাবকরা অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।