বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
আব্দুল মান্নান বিশেষ প্রতিনিধিঃ১০ মার্চ ২০২৫ ইং (সোমবার) রাজশাহীর বাঘা উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ও সাবেক উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতাকে চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্নসাৎ মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রাজশাহী চীফ জুডিশিয়াল আদালতের অতিরিক্ত বিজ্ঞ ম্যাজিষ্টেট সাইফুল ইসলাম সোমবার (১০ মার্চ ২০২৫ ইং) দুপুরে তার জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে প্রেরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাদী নিলুফা ইয়াসমিন পক্ষের আইনজীবী মো: আজিজুল আলম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ ইং সালে বাঘা উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ও সাবেক বাঘা উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতা একই উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের শাজাহান আলীর মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন নিলুকে চাকরি দেওয়ার নাম করে একটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে চাকরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত চান নিলুফা ইসাসমিন নিলু। অবশেষ আরো কিছুদিন সময় নিয়ে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই টাকা দিবেন বলে সোনালী ব্যাংক বাঘা শাখার অনুকুলে একটি চেক প্রদান করেন তিনি। কিন্তু ধার্য্য তালিখে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে তার হিসাব নম্বরে কোন টাকা না থাকায় নিলুফা ইয়াসমিন নিলু বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
নিলুফা ইয়াসমিন জানান, আমাকে যে চেকটি ফাতেম খাতুন লতা প্রদান করেছেন সেটি তার নামায়ী “আশার আলো সংস্থা’’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে। এই হিসাবটি সিল-সহ (সভাপতি-সম্পাদক) যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্ত তিনি যৌথ স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার না করে একক স্বাক্ষরে আমাকে চেকটি প্রদান করেন। এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে লিখিত দিয়েছেন। নিরুপায় হয়ে আমি তার নামে মামলা করেছি।
এবং বাদী নিলুফার ইয়াসমিন এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলে আরো জানান ইতিমধ্যে আমাকে মামলা তোলার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রান নাশের হুমকি দেয়।
এদিকে এই মামলায় সোমবার (১০-মার্চ) আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্টেট জনাব সাইফুল ইসলাম তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। ফাতেমা খাতুনলতা বাঘা পৌরসভার নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি।
নিলুফা ইয়াসমিন নিলু’র আইনজীবী মো: আজিজুল আলম জানান,ফাতেমা খাতুন লতার নামে উচ্চ আদালতে ২৫ লাখ ও নিম্ম আদালতে আরো ১৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির দুটি মামলা রয়েছে। তিনি তার নামীয় “আশার আলো’’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে নিকটতম আত্নীর কাছে চেক দিয়ে টাকা ধার-সহ চাকরি দেয়ার নামে মামুন হোসেন নামে অপর এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা লেনদেন করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর কাছে তথ্য প্রমান রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।