শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
পারভেজ রানা, স্টাফ রিপোর্টার:
বরগুনায় পারিবারিক দ্বন্দে সন্তানকে কোমল পানির মধ্যে ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে স্বামী। হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ঘাতক স্বামী মো: আবুল কালাম আজাদ থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। গতকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর বরগুনা পৌর শহরের কলেজ রোডে এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত ঐ নারীর নাম আছমা আক্তার পুতুল। সে বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের চান্দখালী এলাকার ইউনুছ মিয়ার মেয়ে। গত ১৫ বছর আগে ঘাতক স্বামীর সঙ্গে বিয়ে হয়। ঐ নারী তিনি পূবালী ব্যাংক বরগুনা শাখায় চুক্তি ভিত্তিক পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
নিহতের মেয়ে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাকা মনি (১৩) জানান, আছমা আক্তারের এক জোড়া হাতের চুড়ি অনেকদিন আগে বিক্রি করেছে স্বামী আবুল কালাম। এ নিয়ে অনেক আগে থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিলো। তাছাড়া আছমার চাকুরীর টাকা জোড় করে নিয়ে যেতেন আবুল কালাম। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রবিবার সন্ধ্যার পর নিজ বাসায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় আছমাকে। ঘটনার আগে পানীয় স্পিড এর সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পরিয়ে রাখা হয় রাকা মনিকে। তবে ৫ বছরের শিশু ছেলে রাফির বক্তব্য বাবা মাকে ছুরিকাঘাত করে মারছে। এ সময় রাফি মোবাইল দেখতে ছিলো।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, হত্যাকারী আবুল কালাম সন্ধ্যা ৭টার দিকে থানায় আসার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে আছমাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। তিনি আরো বলেন এবিষয়ে তদন্ত চলছে এবং বিধি মোতাবেক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পূবালী ব্যাংক, বরগুনা শাখার ব্যবস্থাপক মো: জাকির হোসাইন বলেন, আছমা আক্তার খুবই ভালো একজন স্টাফ ছিলো তাদের। রবিবার অফিস করে সন্ধ্যার পরে ব্যাংক থেকে বাসায় ফিরে গেছেন। তার কিছুক্ষণ পরেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা শুনতে পান তিনি।