হারুন অর রশীদ,বিশেষ প্রতিনিধি:
বগুড়ার শিবগঞ্জের উথলী বাজারে নবান্ন উপলক্ষে মাছের মেলা শুরু হয়েছে। এই মেলার মূল আকর্ষণ বড় মাছ। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আজ ২ রা অগ্রহায়ণ। এ দিন বাঙালীরা নবান্ন উৎসব পারন করে। এ উৎসব কেন্দ্র করে প্রতিবছর উথলীতে মাছের মেলা বসে।
আজ রবিবার (১ নভেম্বর) সকাল থেকেই বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বড় মাছ কেনাবেচার জন্য মেলায় ভিড় জমিয়েছেন। মেলায় এক দিনে কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি হবে জানিয়েছে আয়োজকেরা।নবান্ন উৎসব ঘিরে উথলী, রথবাড়ী, ছোট ও বড় নারায়ণপুর, ধোন্দাকোলা, সাদুল্লাপুর, বেড়াবালা, আকনপাড়া, গরীবপুর, দেবীপুর, গুজিয়া, মেদেনীপাড়া, বাকশন, গণেশপুর, মোকামতলা, রহবল শিবগঞ্জসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে রয়েছে নানা আয়োজন। প্রতিটি বাড়িতেই মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয়স্বজনদের আগে থেকেই নিমন্ত্রণ করা হয়। পরিবারের সবাইকে নিয়ে তারা নতুন ধানে নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরেই মেলায় বড় মাছ নিয়ে হাজির হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শতাধিক দোকানে বোয়াল, রুই, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, ব্রিগেড কার্প, ব্লাড কার্পসহ নানা রকমের মাছ বিক্রি হচ্ছে।মেলায় , রুই, কাতলা ও চিতল মাছ ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও মাঝারি আকারের মাছ ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৩০০-৪৫০ টাকা দরে ব্রিগেড ও সিলভার কার্প মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, নবান্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নতুন আলু ফুল কপি, বাঁধা কপি, কেশুর এবং মিষ্টি আলু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মিঠাই মিষ্টির দোকান ও ছোটদের খেলনা ও নাগরদোলা বসছে।
স্থানীয় উথলী গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি দাদার কাছ থেকে শুনেছি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এ মেলা। রাত ১২টার পর থেকেই শুরু হলেও ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমে ওঠে এ মেলা। রায়হান আলী নামে আরেকজন বলেন, নবান্ন উপলক্ষে এখানে এ মেলা বসে। এদিন আমাদের বাড়িতে আত্মীয়স্বজনদের আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়। মূলত তাদের জন্যই বড় বড় মাছ কিনতে মেলায় আসছি। মাছ বিক্রেতা নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব জানান, মেলায় ছোট-বড় মিলে শতাধিক মাছের দোকান বসেছে। প্রত্যেক
[video width="640" height="368" mp4="https://dailyoporadhonusondhanltd.net/wp-content/uploads/2024/11/Messenger_creation_6E971D74-A4E4-4F9C-8E12-2306BD6F8395.mp4"][/video]
বিক্রেতা অন্তত ৫ থেকে ১০ মণ করে মাছ বিক্রি করেছেন। মেলায় মাছ সরবরাহের জন্য সেখানে রাত থেকে১৫-২০ টি আড়ৎ খোলা হয়। সেসব আড়ৎ থেকে স্থানীয় বিক্রেতারা পাইকারি দরে মাছ কিনে মেলায় খুচরা বিক্রি করেন।
ক্রেতারা বলছেন গত বছরের তুলনায় এ বছর মাছের দাম বেশি।