আশরাফুল আলম সরকার,বিশেষ প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মক্তবে পড়তে গিয়ে এক ছাত্রীর (১১) শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে মক্তবের শিক্ষক মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মামা মিজানুর রহমান শিক্ষক মোশারফ হোসেনকে আসামী করে দেবীগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। দণ্ডপাল ইউনিয়নের ঢাকাইয়াপাড়া খোরারপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আটক মোশারফ একই এলাকার মকছেদ আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী ও মক্তবের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৬টা-৮টা পর্যন্ত ওই মক্তবে পাঠ দান করেন মোশারফ হোসেনে। প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার (৩ নভেম্বর) ভুক্তভোগী ছাত্রী মক্তবে গিয়ে দেখেন সেখানে আরো দুইজন শিক্ষার্থী ছিলেন পূর্ব থেকে। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে ভুক্তভোগীকে রেখে বাকী দুই শিক্ষার্থীকে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যেতে বলেন। তারা দুইজন বাইরে চলে গেলে মোশারফ ওই শিশুর বুকে ও উরুতে স্পর্শ করে। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে এলে ক্লাস শুরু করেন ওই শিক্ষক। ক্লাসে উপস্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা বলেন, ক্লাসে আসার পর থেকে তারা ভুক্তভোগীকে কান্নাকাটি করতে দেখেছেন।
ক্লাস শেষে ভুক্তভোগী শিশু বাসায় গিয়ে তার নানা বাচ্চু মিয়া ও খালা সিরাজুম মুনিরাকে বিষয়টি জানায়। পরে শিশুকে সাথে নিয়ে তার খালা প্রতিবাদ জানাতে মক্তবে গেলে মোশারফের বড় ও ছোট ভাই, বাবা, মা তাদেরকে মারার জন্য তেড়ে আসে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার আরো অনেকেই সেখানে উপস্থিত হয়।
এরপর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ভুক্তভোগীকে সাথে নিয়ে তার নানা, মামা ও খালা দেবীগঞ্জ থানায় এসে এজাহার দায়ের করেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাদীর (বিকাল সাড়ে ৪টা) মামলা নথিভুক্ত হয়নি।
এইদিকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা না করে আপোষ করার জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠে স্থানীয় বিএনপি'র বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর মামা ও বাদী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, মোশারফ বিএনপি'র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছে। তাদের হুমকিধামকির কারণে আমরা এজাহার জমা দিয়ে দ্রুত থানা থেকে বের হয়ে এসেছি। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
দেবীগঞ্জ থানার সেকেণ্ড অফিসার এসআই এরশাদুল হক বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মোশারফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।