নিজস্ব প্রতিবেদক:-“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার মামলা নং- ১৭ ( ১২) ১৭, জি.আর.- ৫১৩/১৭, ধারা- ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ৯ (খ) এর ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি নিজাম প্রকাশ নেজাম চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা বিসিক এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ২১ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ১৮২০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ নিজাম উদ্দিন প্রকাশ নেজাম (৩৫), পিতা- এছাক মিয়া, সাং- বড় কুমিরা, থানা- সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে সূত্রে বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি হওয়ার কথা স্বীকার করে এবং মামলা দায়েরের পর হতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে সে নিজ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।

উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতাকৃত আসামি মোঃ নিজাম উদ্দিন প্রকাশ নেজাম এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম  জেলার সীতাকুন্ড থানায় মাদক এবং ছিনতাই সংক্রান্তে ০৩টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।