মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা।

২০২১ সালের ১ লা এপ্রিল
বটিয়াঘাটা হাসপাতালের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান। দায়িত্ব গ্রহণের পর বটিয়াঘাটা হাসপাতাল ৩১ শয্যার নাজুক অবকাঠামো ভবনের এবং ওপিডি ভবনের জরুরী বিভাগসহ চিকিৎসকদের রুম সংস্কার করেন। তিনি যোগদানের সময় হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স অচল ছিলো তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন এ্যাম্বুলেন্স আনেন এবং পুরাতন অচল এ্যাম্বুলেন্সটি সচল করেন কিন্তু এ্যাম্বুলেন্স আনলেও ড্রাইভার পদ শূণ্য ছিল। পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ড্রাইভার পদায়ন করেন। সচল হয় এ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রম। তিনি যোগদানের পূর্বে অত্র হাসপাতালে ২০-২৫ জন রোগী ভর্তি থাকত। তিনি প্রশাসনিক কাজ করার পাশাপাশি রোগীর সেবা দেওয়া শুরু করেন এজন্য বাড়তে থাকে হাসপাতালে বহিঃবিভাগ এবং অন্তবিভাগে রোগীর সংখ্যা। তিনি স্থানীয় সাংবাদিক,পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জন প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে থাকেন। দীর্ঘ ১০ বছর বন্ধ থাকা অপারেশন সেবা ও তিনি চালু করেন। হাসপাতালে এখন সিজারসহ অন্যান্য অপারেশন হয়। এতে দ্রুত তার সুনাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে উপজেলার সর্বস্তরে। অত্র হাসপাতালের প্রাক্তন প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মোঃ সাইদুজ্জামান ছিলেন দুর্নিতীবাজ ও ঘুষ খোর তার অপকর্মের জন্য ডাঃ অপর্ণা বিশ্বাস (সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা) স্বাস্থ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ এবং পরবর্তীতে পটুয়াখালির কুয়াকাটা ২০ বেডের হাসপাতালে বদলী করান। সে বদলী চ্যালেঞ্জ করে স্বাস্থ্য সচিব,মহাপরিচালক,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকা,পরিচালক (প্রশাসন) ঢাকা এবং পরিচালক (স্বাস্থ্য),খুলনা বিভাগকে বিবাদী করে খুলনা প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে কেস করে অর্ডার স্টে করেন। যার মামলা নং এটি ২৯/২১। এবার হয়ে পড়ে আরোও বেপরোয়া। সাইদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে হাসপাতালের সকল স্টাফ তার বিরুদ্ধে গণঅভিযোগ জমাদেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কাছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও সে খ্যান্ত হয়নি। চলতি বছরের জুন মাসে তার কেচ খারিজ হয়ে গেলে পরিচালক (স্বাস্থ্য) খুলনা বিভাগ তাকে গত ২৯-৭-২০২৪ তারিখ ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করেন। তার বদলী বাতিলের বিষয়ে মাইটিভি প্রতিনিধি শিশির রঞ্জন মল্লিক ডাঃ মিজানুর রহমানকে ফোন করে এবং ভয় ভীতি দেখান। গত ২৮-০৮-২০২৪ তারিখে ৬-৭জন টিভি সাংবাদিক ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমানের দপ্তরে আসেন। তারা হাসপাতালের সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে তার কাছে জানতে চান এবং এক পর্যায়ে বদলীকৃত কর্মচারী সাইদুজ্জামানের বদলীতে তাকে দায়ী করেন। তখন সাংবাদিকদেরকে এহেন ভিত্তিহীন কথা না বলার জন্য অনুরোধ করেন। গত ১৪-০৯-২০২৪ তারিখে হাসপাতালের যে অসুবিধা সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহ করেন সেটি প্রচার না করে। উল্টা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, সেবা এবং হাসপাতালের প্রধানকে নিয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে। তাদের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১১ টার সময় বটিয়াঘাটা থানার মোড় চত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোঃ ইমরান হোসেন । মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন  বটিয়াঘাটার ছাত্র জনতা তানভীর আলম,শেখ রাসেল হোসেন,সেবা প্রার্থী মোহাম্মদ চান মিয়া,সাদিয়া ইসলাম, রিপন,মিকাইল হোসেন,মোঃ তরিকুল ইসলাম,মোহাব্বত আলী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংরক্ষণ কমিশনের বটিয়াঘাটা সাধারণ সম্পাদক সরদার হাফিজুর রহমান, রুহুল আমিন গাজী,

শ্রমিক নেতা নুর আলি শেখ,ফের দাউস শেখ,ছাত্র নেতা তানভীর রহমান, শেখ আহমেদ ওমর হামজা,আব্দুর রহিম, আব্দুল্লাহ গাজী, ফারদিন আহমেদ রনি,জিহাদ খান, সেহেদি হাচান,আবির আহমেদ, সাজিম আহমেদ, ওমর ফারুক, আব্দুর রহমান, মুন্না হাচানসহ অসংখ্য জনগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ জানান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার কারণে আগামী ২৯ তারিখে তিন সদস্যের তদন্ত কর্মকর্তারা হাসপাতালে আসবেন। আমরা তাদের প্রতি অনুরোধ করবো সততার প্রতিক ডাঃ মিজানুর রহমানের যেনো কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়। তিনি যেনো সুষ্ঠু বিচার পায়। নইলে আগামীতে আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করবো।