বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
ফকির মিরাজআলী শেখ, বিশেষ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ননীক্ষীরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সতীশ রায় (৫৫) ঠাকুর নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন। আহতদের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ।
মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক শীতল চন্দ্র পাল গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সাড়ে ১১ টায় মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়নের মহিষতলী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত সতীশ রায় উপজেলার মহিশতলী গ্রামের শরৎ রায়ের ছেলে।
ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও ননীক্ষীর ইউপি সদস্য বকুল সরদারের সাথে কথা বলে জানাযায়, মহিষতলী গ্রামের সড়কের পাশের সুদীপ্ত মৌলিকের গ্যারেজ ঘর রয়েছে। গ্যারেজের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ওই এলাকার রায় বাড়ি ও মন্ডল বাড়ির কয়েকটি ঘরে বিদুৎ সরবরাহ হয়।
গত তিন দিন আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওই বিদ্যুৎ লাইনের একটি তার ছিড়ে যায়। পল্লী বিদ্যুত অফিসের সদস্যরা তার সংযোগ দিলে অন্য সকল বাড়িতে বিদ্যুৎ সচল হলেও রায় বাড়ির বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। রায় বাড়ির লোক জানতে পারে সুদীপ্ত মৌলিক তার গ্যারেজের পাশের সার্ভিস লাইনের একটি তার কেটে দিয়েছে।
গতকাল দিবাগত রাত ১১ টার দিকে রায় বাড়ির কয়েকজন লোক সুদীপ্তের কাছে জানতে চায় তাদের বাড়ির সার্ভিস তার কেন কেটেছে। সুদীপ্তের সাথে তর্ক বির্তকের এক পর্যায়ে তার বংশের লোকজন খবর দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হলে সতীশ রায়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে প্রতিপক্ষ। এসময় ৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহতাবস্থা সতীশ রায় ও দিপংকর রায়কে মুকসুদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সতীশ রায়কে মৃত ঘোষণা করে। দিপংকর রায়কে ওই হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যরা স্থানীয় ভাবে প্রথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মুকসুদপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শীতল চন্দ্র পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের দুই বংশের লোকজনের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় একই গ্রামের সতীশ রায় নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়ছে। এঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি।উক্ত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে।