পারভেজ রানা বিশেষ প্রতিনিধি: পরিবারের একমাত্র সন্তানের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে পরিবারের আহাজারিতে কান্নায় ভারি হয়েছে উপস্থিত শত শত মানুষের চোখের পাতা। এমন মর্মান্তিক ঘটনা বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাকিরতবক গ্রামে।
নিহত যুবকের নাম সুজন ফরাজি (২৪)। পেশায় ছিলেন অটোরিকশা চালক। তার বাবার নাম বাদল ফরাজী। তিনি একজন বাক প্রতিবন্ধী। গত বছর পাশ্ববর্তী গ্রামের লিমা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় নিহত সুজনের। বর্তমানে লিমা গর্ভবতী। স্বামীর নিহতের খবরে তিনি এখন বাকরুদ্ধ।
এলাকাবাসী ও নিহত সুজনের চাচা দুলাল ফরাজি জানান, গত চারদিন পূর্বের সহিংসতা ঘটনার পর দিন থেকে সুজন নিখোঁজ ছিল। তার কোন হদিস না পাওয়ায় মা তসলিমা বেগম বরগুনা থানায় গতকাল শুক্রবার রাতে সাধারণ ডাইরি করে। আজ সকাল নয়টার দিকে সুজনের লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় দেখে পুলিশকে ফোন করা হলে তারা এসে ডোবা থেকে উদ্ধার করে। দুলাল ফরাজি আরো বলেন গত ২০ আগষ্ট তান্ডব চালিয়ে এলাকায় ৫ থেকে ৬ জনকে কুপিয়ে আহত করেছে তারাই সুজনকে খুন করে লাশ গোপন করতে বস্তাবন্দি করে ডোবায় ফেলে দিয়েছে।
এব্যাপারে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্হল থেকে সুজন ফরাজি নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল তার নিখোঁজে একটি সাধারণ ডাইরি করে ছিল নিহতের মা। এব্যাপারে উপ পরিদর্শক মোঃ আলমগীর হোসেনকে দ্বায়িত্ব দেয়া হলে তিনি সুজনের বিষয় খোঁজ খবর এবং অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু করেছিল।
তিনি আরো বলেন নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার তথ্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।