বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:-বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া থানাধীন চুনতি ডেপুটি বাজার এলাকায় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২১ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ১৬১০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ জাকির হোসেন (৫০), পিতা- মৃত মফজল হোসেন চৌকিদার, সাং- লাইট হাউজ, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা- কক্সবাজার, এবং ২। হাসিনা বেগম (৩০), স্বামী-
মোঃ সেলিম, পিতা- মৃত মমতাজ উদ্দীন, সাং- চেয়ারম্যানঘাটা, থানা- চান্দগাঁও, জেলা- চট্টগ্রাম’দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে তাদের হেফাজতে থাকা ০১টি নেভী ব্লু রং এর ট্রাভেল ব্যাগের এবং ০১টি কালো রং এর ক্যারিব্যাগের ভিতর হতে আসামিদের নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে মোট ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য (গাঁজা) সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাদেরকে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।